মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া ‘লজ্জাজনক’, ক্ষুব্ধ লাতিন নেতারা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৪৯ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া করিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের পর লাতিন আমেরিকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেক নেতা এটি সমালোচনা করেছেন এবং ‘লজ্জাজনক’ ও ‘অনৈতিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বলিভিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়ক ইভো মোরালেস মাচাদোর সমালোচকদের মধ্যে একজন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “নিজের দেশে দমন, সামরিক হস্তক্ষেপ এবং অভ্যুত্থানকে উৎসাহিত করেছেন এমন কাউকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া কেবল অনৈতিকই নয়, এটি মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং নাগরিক জীবনের শান্তিপূর্ণ অনুশীলন লঙ্ঘনের জন্য সহিংসতার ব্যবহারকে উৎসাহিত করে।”
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্তকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি একাধিক পোস্টে বলেন, “২০২৫ সালে এমন একজনকে এই পুরস্কার দেওয়া লজ্জাজনক, যিনি মাতৃভূমিতে সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন এবং এমন বিক্ষোভে উৎসাহিত করেছেন যেখানে মানুষ নিহত হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা এই রাজনৈতিক কৌশলকে প্রত্যাখ্যান করি, যা ভেনেজুয়েলাকে আলাদা করার এবং এর বৈধ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মোরোসের নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা করে।”
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে আত্মগোপনে থাকা মাচাদো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ করে মাদুরোকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চিঠি পাঠিয়ে তার প্রভাব কাজে লাগানোর অনুরোধও করেছিলেন। এছাড়াও, মাচাদো বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠিয়ে ভেনেজুয়েলার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন।
তবে সব লাতিন আমেরিকার নেতার প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না। পানামার প্রেসিডেন্ট জোসু রাউল মুলিনো পানামা মাচাদোর সমর্থন প্রকাশ করে বলেন, “নিঃসন্দেহে এটি তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা জনগণের পক্ষে শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের স্বীকৃতি। এটি একটি দুর্দান্ত বিজয়!”
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালো মাচাদোর সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “এই পুরস্কার একজন বিরোধী ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার সাহসী অবদানের প্রতিফলন।”