যুদ্ধবিরতি কার্যকর, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন: আইডিএফ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৩৮ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫

বহুদিন ধরে চলা উত্তেজনার পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই বিরতির মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে মানবিক সহায়তা প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, “সমঝোতা অনুযায়ী নির্ধারিত নতুন অবস্থানে মোতায়েন সম্পন্ন হয়েছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দক্ষিণ কমান্ডের সেনারা সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে এবং তারা “যে কোনো তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে।”
সেনা প্রত্যাহার কেবল আলোচনায় নির্ধারিত সীমান্ত রেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সেনা প্রত্যাহারের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের পুরোপুরি মুক্ত করতে হবে হামাসকে। একই সময়ের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে প্রায় ১,৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে। এই সময়সীমা শেষ হবে সোমবার, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায়।
তবে এই বন্দিমুক্তির নির্দিষ্ট স্থান ও সময় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। মাত্র ১২ ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির চুক্তি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপরই সেনারা গাজা উপত্যকার ভেতরে সমঝোতা অনুযায়ী নির্ধারিত অবস্থানে ফিরে যায়। পরে আইডিএফ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি।” যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েল ও গাজা দুই অঞ্চলে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে, কোথাও কোথাও দেখা গেছে ছোটখাটো উদযাপনও।
চুক্তি বাস্তবায়নে সমন্বয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ২০০ সেনা পাঠিয়েছে, তবে তারা গাজার ভেতরে প্রবেশ করবে না বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোও সহায়তা পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
যদিও যুদ্ধবিরতি স্বস্তি এনেছে উভয়পক্ষের জনগণের জন্য, তবুও দীর্ঘমেয়াদে টেকসই শান্তি অর্জনের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। ইসরায়েল ও হামাসের ভবিষ্যৎ আলোচনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে থাকছে।
সূত্র: বিবিসি