ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা হবে: নেতানিয়াহু


ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা হবে: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার “কোনোভাবেই ঘটছে না।” একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, বলপ্রয়োগের মাধ্যমেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু জানান, যারা আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, তাদের চাপে তিনি নতি স্বীকার করবেন না।

তিনি বলেন, “তারা বারবার বলছে হামাসের শর্ত মেনে নাও, সেনা সরিয়ে নাও, যাতে হামাস আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে এবং গাজা পুনর্গঠন করতে পারে। কিন্তু এটা কোনোভাবেই হবে না।”

নেতানিয়াহু আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা হামাস প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। তার ভাষায়, “হামাসকে নিশ্চিহ্ন করাই এখন মূল লক্ষ্য। সামরিক অভিযান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু হটব না। সব দিক থেকে এ সফর ছিল সফল।”

অন্য এক ভিডিও বার্তায় তাকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় তিনি কি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতিতে সম্মত হয়েছেন? উত্তরে নেতানিয়াহু সাফ বলেন, “না, একেবারেই না।”

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির কোনো ধারা নেই। বরং ইসরায়েল সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরোধিতা করবে।”

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার খসড়ায় বলা হয়েছে, গাজা পুনর্গঠন এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার সম্পন্ন হলে ভবিষ্যতে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি ‘গ্রহণযোগ্য পথ’ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×