আরও ৬ দেশ আজই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৩৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফ্রান্স ও সৌদি আরব আজ সোমবার ফিলিস্তিনে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে সমর্থন বৃদ্ধির জন্য এক বহুজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। এতে অন্তত কয়েক ডজন দেশের নেতারা অংশ নেবেন। আশা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। তবে এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, রোববার যুক্তরাজ্য, কানাডা, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে। আজ আরও ছয়টি দেশ একই ঘোষণা দেবে বলে জানা গেছে। এসব ঘোষণা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের ভাষণের আগে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া ১৫০টি জাতিসংঘ সদস্য দেশের তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে ৬ দেশ - বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং সম্ভবত নিউজিল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন। তারা আজ জাতিসংঘের একটি বিশেষ সম্মেলনে তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের কারণে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ক্ষেত্রে হঠাৎ ম্লান হয়ে যাওয়া প্রচেষ্টা পুনরুজ্জীবিত করতেই এই সম্মেলনের আয়োজন। এর মধ্যে কিছু দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ইহুদিদের নতুন বছরের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগেই তাদের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। তবে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান এতে অংশ নিচ্ছেন না, বিপরীতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ উপস্থিত থাকবেন।
অন্যদিকে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলন বর্জন করছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন। তিনি এ আয়োজনকে ‘সার্কাস’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, "আমরা মনে করি না এটি কোনোভাবে সহায়ক। বরং আমরা মনে করি এটি সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করছে।"
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এসব স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। জাতিসংঘ থেকে দেশে ফিরে তিনি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেও জানান। ইতিমধ্যেই ইসরাইল সরকারের কিছু মন্ত্রী পশ্চিম তীরের একটি অংশ দখল করার দাবি তুলেছেন।
সৌদি আরব সতর্ক করেছে যে, পশ্চিম তীর দখল করা হলে তার ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতও বলেছেন, দখলকরণ হবে ‘বিপৎসীমা’।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র এসব স্বীকৃতিকে ‘লোক দেখানো’ আখ্যা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "আমাদের মনোযোগ সিরিয়াস কূটনীতির ওপর, কেবল দেখানোর জন্য গৃহীত পদক্ষেপে নয়। আমাদের অগ্রাধিকার স্পষ্ট - জিম্মিদের মুক্তি, ইসরাইলের নিরাপত্তা এবং গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধি, যা কেবল হামাসমুক্ত অবস্থাতেই সম্ভব।"
মার্কিন প্রশাসন আরও সতর্ক করেছে, যারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে, যার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নিউইয়র্কে আয়োজিত সম্মেলনের আয়োজনক। ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তেল আবিব প্যারিসের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু পাল্টা ব্যবস্থা বিবেচনা করছে।