সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে কাতারে হামলা চালায় ইসরায়েল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৫২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েল সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় একটি সামরিক হামলা চালিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মার্কিন গণমাধ্যমের বরাতে ইসরায়েলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট জানায়, এই হামলায় কাতারের ভেতরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং বিস্ফোরণের সময় ইসরায়েল সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহার করে একটি দূরপাল্লার মিসাইল দোহায় নিক্ষেপ করে।
তবে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো কোনও আরব দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, লোহিত সাগর থেকে উৎক্ষেপিত ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে এই হামলা পরিচালনা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী (আইএএফ) ওই সময় লোহিত সাগরের আকাশে আটটি এফ-১৫ ও চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল। যুদ্ধবিমানগুলোর হামলার পর একটি মিসাইল সৌদি আরবের আকাশসীমা দিয়ে মহাকাশে পাঠিয়ে দোহায় গিয়ে আঘাত হানে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “মহাকাশভিত্তিক সেন্সর সিস্টেম মিসাইলের তাপ ও গতিপথ শনাক্ত করে নিশ্চিত হয়েছে যে, এর লক্ষ্যবস্তু ছিল কাতারের রাজধানী।” তাদের মতে, সৌদির আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এড়াতে ইসরায়েল এই পথ বেছে নেয়।
একজন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সাংবাদিক হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, দোহায় আক্রান্ত ভবনের নিচতলা ও মাঝের তলার ডান পাশ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
ঘটনার পর রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার নিন্দা জানালেও, সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসরায়েলের অপরাধমূলক আগ্রাসন অব্যাহত রাখা আন্তর্জাতিক আইন ও সব ধরনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নগ্ন লঙ্ঘন।”
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, ইসরায়েল কাতারে হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অবহিত করেনি। এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “সেসময় এই হামলা প্রত্যাহার বা থামানোর কোনও উপায় তখন আর ছিল না।”
হামলার লক্ষ্য ছিল হামাস নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার হামাস জানায়, তাদের ভারপ্রাপ্ত নেতা খলিল আল-হাইয়া এই হামলা থেকে অক্ষত রয়েছেন। এর আগের দিন, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জেরুজালেম পোস্ট-কে জানান, “এই হামলায় কোনও শীর্ষ হামাস নেতা নিহত না হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে।”