এবার ভারতে আন্দোলন শুরু
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৪২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে জেন জি বিক্ষোভের মধ্যে যখন উত্তেজনা চলছে, ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী ভারতের বিহারেও দেখা গেছে সুনামি–রূপী প্রতিবাদ। রাজ্যের বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার শিক্ষকপ্রত্যাশী।
জানা গেছে, চতুর্থ দফা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টিআরই-৪) ঘিরে ক্ষোভ উসকে দিয়েছে বিহারের চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে। শূন্যপদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) তারা আন্দোলনে নামে।
সকাল থেকে প্রায় তিন হাজার মানুষ পাটনা কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বাসভবনের দিকে মিছিল শুরু করেন। কেতন মার্কেট, বকরগঞ্জ, গান্ধী ময়দান, জেপি গোলাম্বার হয়ে ডাক বাংলো স্কোয়ার পর্যন্ত মিছিল চলায় রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
চাকরিপ্রত্যাশীরা স্লোগান দিতে দিতে দাবি করেন, “সরকারের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।” তাদের অভিযোগ, সরকার এই প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকেনি।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার ঘোষণা দেন, এই দফায় মাত্র ২৬ হাজারের বেশি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে এই ঘোষণা তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
ছাত্রনেতা দিলীপ কুমার অভিযোগ করেন, “যতদিন পর্যন্ত ডোমিসাইল নীতি কার্যকর হয়নি, সরকার কখনও ৫০ হাজার, কখনও ৮০ হাজার, আবার কখনও ১ লাখ ২০ হাজার শূন্যপদের কথা বলেছে। অথচ নিয়ম চালু হওয়ার পর তা কমিয়ে ২৭ হাজার ৯১০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি বিহারের তরুণদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”
তিনি আরও বলেন, “আগে বাইরের রাজ্যের প্রার্থীদের আকৃষ্ট করতে শূন্যপদের সংখ্যা বেশি দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ডোমিসাইল নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর তা অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
চাকরিপ্রত্যাশীরা মনে করিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এর আগে একাধিকবার প্রকাশ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এখন সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হওয়ায় তরুণ বেকারদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।