পশ্চিম তীর দখল নিয়ে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি আরব আমিরাতের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:২২ এম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পশ্চিম তীর দখলের প্রস্তাবের পর ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। তারা বলেছে, এমন পদক্ষেপ ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবে এবং আব্রাহাম চুক্তির মূল চেতনা ধ্বংস করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আমিরাতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লানা নুসাইবেহ বলেন, “পশ্চিম তীর দখল আমিরাতের কাছে এক রেড লাইন। এটি চুক্তির চেতনা ধ্বংস করবে, আঞ্চলিক একীকরণ থামিয়ে দেবে এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি আন্তর্জাতিক ঐকমত্য ভেঙে দেবে।”
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আমিরাতের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এই বার্তা এসেছে ইসরায়েলের উগ্র-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের প্রস্তাবের পর। তিনি পশ্চিম তীরের ৮২ শতাংশ এলাকা দখলের পরিকল্পনার মানচিত্র তুলে ধরেছেন। বাকি ১৮ শতাংশ ছয়টি ফিলিস্তিনি শহরের আশপাশে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল আমিরাত, মরক্কো ও বাহরাইন। শর্ত ছিল, ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা স্থগিত রাখবে।
স্মোট্রিচ বলেন, “এখন সময় এসেছে দখলের। দেশ ভাগ করে মাঝখানে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র গড়ার ধারণা চিরতরে বাদ দিতে হবে।”
তিনি দাবি করেন, ফিলিস্তিনিরা আপাতত আগের মতো জীবনযাপন চালিয়ে যাবে, পরে অন্যভাবে প্রশাসন পরিচালিত হতে পারে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এটিকে তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষার জন্য ‘সরাসরি হুমকি’ হিসেবে দেখছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েল ইতোমধ্যে বর্ণবাদী শাসন কায়েম করেছে, যদিও ইসরায়েল সরকার তা অস্বীকার করেছে।
গত মাসে পশ্চিম তীরে নতুন বসতির অনুমোদন দিয়েছিল ইসরায়েল, যা ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনা তৈরি করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।