পাকিস্তানে প্রক্সি যুদ্ধ জোরদার করেছে দিল্লি: অভিযোগ সেনাপ্রধান মুনিরের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৫১ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৫

ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক সংঘর্ষে পরাজয়ের পর, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে ছায়াযুদ্ধ বা ‘প্রক্সি ওয়ার’ চালিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।
বুধবার বেলুচিস্তানে অনুষ্ঠিত ১৬তম ন্যাশনাল ওয়ার্কশপে বিভিন্ন পেশাজীবী অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের এই তৎপরতা দেশকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের অংশ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর এ বক্তব্যের বিষয়বস্তু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
সেনাপ্রধান মুনির অভিযোগ করেন, ভারত "ফিতনা-তুল-খাওয়ারিজ" এবং "ফিতনা-তুল-হিন্দুস্তান"-এর মতো হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করে পাকিস্তানে প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের দেশপ্রেমিক জনগণের মনোবল ভাঙতেই ভারতের এই সন্ত্রাসী প্রকল্প। তবে যেভাবে তারা ‘মারকায়ে হক’-এ অপমানজনক পরাজয়ের শিকার হয়েছিল, একই পরিণতি এসব প্রক্সি গোষ্ঠীরও হবে।
মুনির আরও উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম, গোষ্ঠী বা নৃগোষ্ঠী থাকে না। তাই এসব হুমকি মোকাবেলায় দেশের সব স্তরের মানুষের সম্মিলিত জবাব অত্যাবশ্যক।
তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এবং জাতীয় সংহতি বজায় রাখার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রক্সি যুদ্ধ কী?
প্রক্সি যুদ্ধ হলো এমন এক ধরনের সংঘাত যেখানে দুই রাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধ না করে, তৃতীয় পক্ষ—যেমন বিদ্রোহী গোষ্ঠী বা মিলিশিয়া বাহিনী—ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থে সংঘর্ষ চালিয়ে যায়। এসব যুদ্ধে অস্ত্র, অর্থ বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গোপন সহায়তা প্রদান করা হয়, যাতে মূল শক্তিগুলো সরাসরি জড়িত না থেকেও প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে পারে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় এমন বহু প্রক্সি যুদ্ধ দেখা গেছে—যেমন আফগান যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কোরিয়া যুদ্ধ—যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন পরোক্ষভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েছে।
পাকিস্তানের দাবি, ভারত বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাতে উৎসাহিত করছে। ইসলামাবাদ এই কার্যকলাপকেই ভারতের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করছে।