রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন পুড়ালো দুর্বৃত্তরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও মতিহার হলে কোরআনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে প্রথমে জিয়া হলে, পরে মতিহার ও আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে কোরআন পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া দেখে প্রশাসনকে জানায় হলের শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদে ও সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে কোরআন শরিফের প্রথম দুই-তিন পারা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফিরোজ হাসান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই উস্কানিমূলক একটি ঘটনা। কোন একটা দল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও আমাদের মধ্যে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্যেই এটা করেছে। আমরা চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক ও দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’ এ ব্যাপারে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হল সুপার আমাকে ঘটনা জানায়। কোন ধর্মের এমন অবমাননা করুক এটা আমরা সহ্য করব না। হল প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করবে। এছাড়া, আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি, তিনি দুপুর ১২টায় মিটিং কল করেছেন। কোন একটা মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। যারা এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।’ ঘটনার বিষয়ে মতিহার হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ভারপ্রাপ্ত যে আছে, তার সাথে কথা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’ তবে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল কেটে দেন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানান, এটা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এটায় কাজ করছে। আমি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান করব। এ ধরনের ঘৃণিত কাজ যারা করেছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার সাথে চবির প্রতিনিধি দলের মতবিনিময়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তার কার্যালয় ‘যমুনা’য় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে মতবিনিময় সভা করেছে। সভায় চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, চবির সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এসএম ফজলুল হক, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও চবির সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, চবির উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রিয়াজুল হারুন উপস্থিত ছিলেন। মুহাম্মদ ইউনূসকে চবির পরিবারের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে তাকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। উপাচার্য প্রধান উপদেষ্টাকে চবিতে বিরাজমান সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বিগত ৩ মাসের সার্বিক পরিস্থিতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা চান। উপাচার্য প্রধান উপদেষ্টাকে চবিতে আসার আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং তার সুবিধামত সময়ে চবিতে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মুহাম্মদ ইউনূস চবির বর্তমান একাডেমিক পরিবেশ সম্পর্কে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে বিগত ৩ মাসের কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টা চবি পরিচালনায় উপাচার্যকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, জনগণের জন্য বাসযোগ্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ তথা চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে চবিকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন।

জালিয়াতি করা ১২০ শিক্ষকের বেতন বন্ধ ও ফৌজদারি মামলার নির্দেশ

দারুল ইহসান এবং এনটিআরসিএসহ বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের জাল সনদ দিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়া অন্তত ১২০ জনকে শনাক্ত করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তা করেননি। এবার এই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে অধিদপ্তর বলছে, ‘দ্রুত ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সম্প্রতি অধিদপ্তর থেকে চিহ্নিত শিক্ষকের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ১২০ জন শিক্ষকের জাল সনদের প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের ইনডেস্ক কর্তন করে বেতন বন্ধ ও বেতন ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে। কিন্তু, তারা এ কাজে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও একই অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি বিভিন্ন মাদরাসার জাল সনদধারী ২৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে তাদের এমপিওশিট থেকে ইনডেক্স কাটা হয়। এ ছাড়া, বিভিন্ন সময়ে জাল সনদধারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা প্রকাশ করে মাদরাসা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, ‘জাল সনদের চাকরি করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা না করলে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা প্রধানদের এমপিও স্থগিতসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের পরিচালক এইচএম নুরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘মাদরাসার জাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ইনডেক্স কর্তন করা এসব শিক্ষকদের ওঠানো বেতন-ভাতার সব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিয়ে তার প্রমাণ পাঠানোর জন্য মাদরাসা প্রধানদের বলা হয়েছে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধানদের এমপিও স্থগিতসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সম্প্রতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘এনটিআরসিএর ভুয়া ও জাল সনদের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হওয়ায় সনদধারীদের বিরুদ্ধে এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের ইনডেক্স কর্তন করা হয়।’ আদেশে আরও বলা হয়, ‘প্রতিষ্ঠান-প্রধানকে ইনডেক্স কর্তন করা শিক্ষকদের উত্তোলিত বেতন-ভাতার সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে প্রমাণসহ অধিদপ্তরে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব জাল শিক্ষকদের আবেদন পাঠানোর ব্যাপারে মাদরাসা প্রধানকে সতর্ক করা হয়। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে তাদের বেতন-ভাতার টাকা ফেরত দিতে যে কোন ধরনের শৈথিল্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।

আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে: প্রেস সচিব

আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে।’ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রামে বর্ষায় সমস্যা হয়। জলাবদ্ধতার সমস্যা যত দ্রুত নিরসন করা সম্ভব সেই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর ট্রাফিকের বিষয়ে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’ এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

চুয়েটে ‘ইন্সপায়ারিং ফিউচারস: নলেজ এন্ড পাথওয়েস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের উন্নতি মানেই দেশের সার্বিক উন্নতি। এ দেশের তরুণেরা যত বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে উন্নত হবে, বাংলাদেশও তত উন্নতি সাধন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জ্ঞানবিজ্ঞানের নিত্যনতুন দিক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবেন, সৃজিত জ্ঞান ও পরিবর্তিত ধারণা পরস্পরের মধ্যে বিতরণ করবেন, এরকমটাই প্রত্যাশিত। পরীক্ষালব্ধ এই জ্ঞানকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল হওয়ার মাধ্যমে দেশ হবে সমৃদ্ধ।’ চুয়েটে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘ইন্সপায়ারিং ফিউচারস: নলেজ এন্ড পাথওয়েস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের আয়োজনে ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম। এতে স্পিকার হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রবীর সরকার, দি ইউনিভার্সিটি অব এডিলেড অস্ট্রেলিয়ার প্রভাষক ড. তাফসিরুজ্জামান, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. ইফতেখার খান, টিপিজি টেলিকম অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ও নিউসাউথওয়েলস গভর্মেন্টের সাইবার সিকিউরিটির হেড চৌধুরী মাহমুদ। চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারের মডারেটর ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ও চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের নির্বাহী কমিটির ক্যারিয়ার এন্ড হায়ার এডুকেশন সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া আরও বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে দক্ষ জনশক্তি। দেশগুলো তাদের মানবাধিকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে। এতে ওই দেশগুলো শক্ত ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব বাজারেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে, যাদের ভিত্তি সম্পূর্ণরূপে দক্ষ জনশক্তির ওপর নির্ভরশীল। কারণ দেশগুলো তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অবলোকন করে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণে মূল প্রকল্প তৈরি করেছে দক্ষ জনশক্তিকে কেন্দ্র করে। এতে দেশগুলোর নাগরিক চাহিদা অর্জিত হচ্ছে এবং পূরণ হচ্ছে অর্থনীতির ঘাটতিগুলো।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষ জনশক্তি নির্মাণ করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত দেশের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এখন সময় এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক শিক্ষা থেকে নিজ নিজ পেশায় দক্ষ ও পেশাদার কর্মী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে, ঘুচবে বেকারত্বের অভিশাপ।’

জাবিতে ‘শেখ হাসিনা’ ও ‘শেখ রাসেল’ হলের নাম পরিবর্তনের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘শেখ হাসিনা’ ও ‘শেখ রাসেল’ হলের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে গণঅভুত্থান রক্ষা আন্দোলন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনের নেতারা। স্মারকলিপিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই রাতকে ‘কালরাত’ ও ১৭ জুলাইকে ‘শোক দিবস’ করার দাবিও জানানো হয়। এ নিয়ে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের সদস্য জান্নাত ঝলক বলেন, ‘৫ অগাস্ট পরবর্তী কীভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নামে হল থাকে সেটা আমাদের বোধগম্য না। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নাম পরিবর্তন করে এবং নতুন হল শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছি। উপাচার্য আমাদের দাবি বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছেন।’ গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশীদ জিতু বলেন, ‘১৫ জুলাই রাত জাহাঙ্গীরনগরের জন্য ভয়ঙ্কর একটি রাত ছিল। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ওই রাতে নৃশংস হামলা চালিয়েছিল; যা জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসে বিরল। পাশাপাশি ১৭ পুলিশ যে হামলা করেছিল এবং সেই হামলায় জাবি শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছিল অনেক। দুইটি দিনকে স্মরণে রেখে আমরা জাবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।” এ ব্যাপারে জানতে উপাচার্যের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

নতুন দাবি নিয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা, না মানলে আমরণ অনশনের ঘোষণা

পোষ্য কোটা বাতিল ও জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। কাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসন এ কোটা বাতিল না করলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরিয়ান বলেন, ‘২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে পোষ্য কোটা নিয়ে আন্দোলন করা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারীরা বেঁচে থাকতে তো নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেই আবার মৃত্যুর পরও কেন্দ্রীয় কবরস্থানেও সুযোগ পায়। সেখানে তাদের সন্তানদের কোটা দেওয়া কতটা যৌক্তিক প্রশাসনের কাছে সেটা আমার প্রশ্ন! স্বাধীন বাংলাদেশে কোটার সঙ্গে আপস করা মানে শহিদদের সঙ্গে বেঈমানি করা। তাই, প্রশাসনের কাছে দাবি, তারা যেন কোটাহীন সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করেন।’ জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ বলেন, ‘শহিদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গড়ে ওঠা প্রশাসন আমাদেরকে চরমভাবে আশাহত করেছে। কেননা তারা স্বাধীন ক্যাম্পাসেও পোষ্য কোটার মত অমূলক কোটা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোটার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমি একটি চোখ হারিয়েছি, প্রয়োজনে আরো একটি চোখ দেব, তবুও চবিকে পোষ্য কোটা মুক্ত করে ছাড়ব।’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশেও আমাদেরকে কোটার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। যে প্রশাসন শহিদ হৃদয় তরুয়া এবং শহিদ ফরহাদের রক্তের ওপর বসে আছে তাদের কাছে খুনিদের বিচার চাইতে হচ্ছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যদি প্রশাসন এখনো বিচারের নামে তালবাহানা করে, শান্তি কমিটির নামে কোন তালবাহানা করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে বাধ্য হবে।’

জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। সে লক্ষ্যে চলছে পরীক্ষার রুটিন প্রস্তুতের কাজ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান। তিনি আরও বলেন, জুনের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য সূচির (রুটিন) খসড়া প্রস্তুতের কাজ চলছে। আশা করছি, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সম্ভাব্য পরীক্ষা সূচি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ২ মার্চ থেকে। আর ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে কলেজগুলোকে। এরপর ফরম পূরণ শুরু হবে। ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। তবে আন্দোলনের জেরে মাঝপথে এ পরীক্ষা স্থগিত হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সেগুলো না দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে পরীক্ষার্থীরা। পরে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার নম্বর বিবেচনায় নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে গত ১৫ অক্টোবর ফল প্রকাশ করা হয়।

মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না

আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশীয় ছাপাখানায় সব বই মুদ্রণ, পরিমার্জন, বইয়ের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি থাকাসহ বিভিন্ন কারণেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।’ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরো বলেন, ‘বিগত সময়ে মার্চের আগে পুরোপুরি বই দেয়া হয়নি। আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশে কোন বই ছাপানো হচ্ছে না। দেশের সক্ষমতা কত, সেটা এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এতে করে তো দেরি হবেই।’তিনি বলেন, ‘সবগুলো গোডাউন যেখানে আর্ট পেপারগুলো জমা ছিল, সেগুলো সব উদ্ধার করার পরও দেখা গেল যে, দেশের ভেতর আপাতত কিছু ঘাটতি আছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে।’

ফটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখা ব্যানার টানালেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজটিকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। আন্দোলনের ধারাবাহিকাতায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে মূল ফটকে এই ব্যানার টাঙিয়ে দেন তারা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের মধ্যে একটি হল সরকারি তিতুমীর কলেজ। ঢাবির অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ দিন ধরেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছেন।তবে, এর মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানটিকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি করছেন।সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে কয়েক দফায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী।শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৩ ডিসেম্বর কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, তা যাচাইয়ে পাঁচজনের একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এবার সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন ৭৬৫ জন

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এবার ৭৬৫ জন সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (৬ জানুয়ারি) একাধিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ৫ম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের থেকে ৭৬৫ জনকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৫ম গ্রেড, টাকা ৪৩,০০০-৬৯,৮৫/- বেতন ক্রমে) পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত নির্দেশাবলি অনুযায়ী পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিমুক্তি ও যোগদান প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। ইনসিট/সংযুক্ত সহযোগী অধ্যাপকগণ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকার পরিবর্তে স্ব স্ব কর্মস্থলের নির্ধারিত হারে ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কর্মকর্তা নিজ প্রতিষ্ঠানের উচ্চতর পদে বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পদায়নের জন্য স্বতঃসিদ্ধভাবে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হবেন না। পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের মধ্যে পরবর্তীতে কারও পদোন্নতি কোনো সমস্যা তৈরি হলে বা অভিযোগ উত্থাপিত হলে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর পর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি চাকরিজীবীদের পদোন্নতি দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আবাসন সংকট নিরসনে ভিসির বাসভবনের সামনে অনশনে ঢাবির ছাত্রীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতীকী অনশনে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রী। পরে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে তারা শর্তসাপেক্ষে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দুপুর দেড়টার দিকে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বাসভবনের সামনে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতীকী অনশনকারী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা প্রমি বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হবে বলা হয়েছে। তবে, আমরা তিনটি শর্তে আলোচনায় যাব- অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে; প্রয়োজন ও আর্থিক সামর্থ্যের ভিত্তিতে জরুরি আবেদনের মাধ্যমে বিভাগভিত্তিক সিট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী মূল ক্যাম্পাসেই নতুন হল নির্মাণের বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের জন্য পাঁচটি হল রয়েছে, ছেলেদের হল ১২টি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছাত্রের তুলনায় নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ফলে, মেয়েদের হলগুলোতে আবাসন সংকট প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। যার কারণে প্রায়ই নারী শিক্ষার্থীরা আবাসনের জন্য আন্দোলনে নামছেন। এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প সরকারের কাছে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে দুই হাজার ৮৪১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘চারটি ছাত্রী হলের বর্ধিত ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্প অনুমোদিত হলে প্রায় তিন হাজার ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে। এছাড়া, চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্পটি’ বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। চারটি হল নির্মাণের প্রকল্পে শাহনেওয়াজ হোস্টেল ভেঙে ১৫-তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রী হল নির্মাণ, ১০-তলা ও ৬-তলা বিশিষ্ট শামসুন নাহার হলের দুইটি সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণ, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের বিদ্যমান স্টাফ কোয়ার্টার বি এবং ডি ভবন ভেঙে ১১-তলা ও ৮-তলা বিশিষ্ট দুইটি ভবনের সমন্বয়ে একটি ছাত্রী হল নির্মাণ এবং ১০-তলা বিশিষ্ট কুয়েত মৈত্রী হলের সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রশাসন বলেছে, ‘আবাসিক সংকটের মত দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত একটি জটিল সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়।’

ন্যানো টেকনোলজি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, ‘ন্যানো টেকনোলজি দ্রুত বর্ধনশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্র; যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে নতুন ওষুধ, থেরাপি ও সার্জারির পদ্ধতি তৈরি করা সম্ভব হবে। আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে রোগ নির্ণয় করা যাবে ন্যানো-ডায়াগনস্টিকস ব্যবহার করে। বিজ্ঞানীরা ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে এমন নতুন উপকরণ ও ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছেন। যা আরও শক্তিশালী, টেকসই, কার্যকর ও সুরক্ষিত হবে। ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে দূষণ কমানো ও পরিবেশ রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।’ চুয়েটের রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ন্যানোটেকনোলজি: দ্যা টাইনি রিভল্যুশন শেপিং দ্যা ফিউচার অব এনার্জি, হেলথ এন্ড দ্যা এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারের তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিন ভূইয়া আরো বলেন, ‘ন্যানো-ফুয়েল সেল ব্যবহার করে পরিবহন থেকে নির্গত দূষণ কমানো যাবে। ন্যানো-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে ভবনগুলোকে শক্তিশালী ও টেকসইভাবে নির্মাণ করা সম্ভব হবে। ন্যানো টেকনোলজি উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলোকে আরও দক্ষ ও টেকসই করা সম্ভব হবে। ন্যানো-প্রক্রিয়াকরণ ব্যবহার করে পণ্যগুলোকে দ্রুত ও সস্তায় তৈরি করা সম্ভব। শক্তপোক্ত ও টেকসই মানের পণ্য উৎপাদনে ন্যানো-সামগ্রীর ব্যবহার বিপ্লব ঘটাতে পারে। এনার্জির ক্ষেত্রে, ন্যানো ম্যাটারিয়ালগুলো সোলার সেলের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলছে, যা রিনিউবেল এনার্জির ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, ‘ন্যানো স্ট্রাকচার্ড ব্যাটারি ও সুপার ক্যাপাসিটর শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে সাহায্য করছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা ধরে নিতে পারি, ন্যানো টেকনোলজি ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা, শক্তিশালী ইলেকট্রনিক্স এবং টেকসই পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে। তবে, এর সাথে থাকা নৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করাও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এই প্রযুক্তি মানবকল্যাণে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগানো যায়।’ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক এএইচ রাশেদুল হোসেন। সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন আমেরিকার মেরিল্যান্ড বাল্টিমোরের কোপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যানোটেকনোলজি সেন্টারের ফাউন্ডিং ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য দেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাশ্বত রবি। চুয়েটের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছা. রোকসানা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সানজিদা মুকুট।

চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বাস উপহার

চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য একটি বাস উপহার দিয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। সম্প্রতি কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরমান আর চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা আকতার নূরের কাছে বাসের চাবি হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান চৌধুরী।উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাবীব উল্লাহ, চট্টগ্রাম জোনাল হেড মোহাম্মদ আযম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনের সব শাখা ব্যবস্থাপক ও কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে ইব্রাহিম ও আলী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবিরের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। চবি শাখার নতুন সভাপতি হয়েছে মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সেক্রেটারি হয়েছে মোহাম্মদ আলী ওবায়দুল্লাহ। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম সিটির সাফা আর্কেডের মিলনায়তনে ছাত্রশিবির চবি শাখার সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত ও সেক্রেটারি মনোনীত হয়। মোহাম্মদ ইব্রাহিম চবির মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজ: শত কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ, পাঁচ দাবি শিক্ষার্থীদের

শত কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ এনে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি কার্যক্রম সরকারের দেয়া কমিটির মাধ্যমেই অন্তর্বর্তী প্রশাসন তৈরি করে পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা কলেজে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।এ সময় ঢাবি প্রশাসন কেবলই সাত কলেজকে ব্যবহার করে ভর্তি বাণিজ্য করেছে অভিযোগ এনে, কমিটিকে সেগুলো খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান শিক্ষার্থীর। সাথে সাত কলেজের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে এরই মধ্যে কমিটি গঠিত কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ারও আবেদন করেন তারা।মূলত ঢাবি প্রশাসনের সাত কলেজের জন্য প্রকাশ করা ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখান করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানান ঢাবির অভিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ ঘণ্টা অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা, ‘অসুস্থ’ পড়লেন কয়েকজন

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় দশ ঘণ্টা ধরে ভেতরে অবরুদ্ধ দুইজন উপ উপচার্যসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এরমধ্যে ২০ জনের বেশি নারী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে অবরুদ্ধরা রড দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এতে তর্কবিতর্ক, হট্টগোল শুরু হয়। দুই পক্ষের বিরোধে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসে। অবরুদ্ধ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় খাবার না খাওয়ায় কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা অবরুদ্ধ অবস্থার পরিত্রাণ চান। রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ট্রেজারারসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী আমরা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছি। এদের মধ্যে ২০-৩০ জন নারী আছেন। প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দেওয়ায় কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বের হতে না দেওয়ায় দুপুরের খাবারও কেউ খেতে পায় নি। আমাদের ভেতরের ডায়াবেটিস, প্রেশারের রোগীও আছে। তারা আন্দোলন করছে অথচ তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা কোটা চার শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশে নিয়ে এসেছি। শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য কোন পোষ্য কোটা রাখা হয়নি। শুধুমাত্র সহায়ক কর্মচারীদের জন্য পোষ্য কোটা এক শতাংশ রাখা হয়েছে তাও মানবিক কারণে। সেখানে তাদের এ ধরনের আন্দোলন কতটা যৌক্তিক?’ এ দিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, তালা ঝুলানোর আগে প্রশাসনিক ভবন থেকে সবাইকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেসময় তারা গুরুত্ব দেননি। এ কারণে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গেট খোলার সুযোগ নেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোষ্য কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত কাউকে ভেতর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না। শুরুতেই তাদের আহ্বান করেছিলাম প্রশাসন ভবনের ভেতরে না থাকতে। কিন্ত তারা তা শোনেন নি।’ ‘সম্পূর্ণ কোটা বাতিল করা না হলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোর পাশাপাশি আগামী রোববার (৫ জানুয়ারি) থেকে পুরো ক্যাম্পাস অচল করে দেওয়া হবে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাইরে আছেন, তিনি চাইলে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এখন ভেতরে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু পোষ্য কোটা বাতিল না করে বের হতে পারবেন না।’ এর আগে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল পৌনে দশটায় প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। নয়টা ৫০ মিনিটে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এরপর তারা দশটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, পোষ্য কোটাসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের গেট বন্ধ থাকবে। আগামী রোববার পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সংকট নিরসনে কাজ করছেন তারা। গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) পোষ্য কোটা ৪ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

সিভাসুর বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাটহাজারিস্থ রিসার্চ ও ফার্ম বেইসড ক্যাম্পাসে অবস্থিত বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভাসুর উপাচার্য এবং বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ আল-ফোরকান। অনুষ্ঠানশেষে নবাগত শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করে। ইতোমধ্যে সিভাসুর ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদ এবং ফিশারিজ অনুষদে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুষদভিত্তিক পৃথক পৃথক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামগুলোতে নবাগত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিধিবিধান, প্রক্টরিয়াল রুলস, আবাসিক হলের বিধিবিধান, লাইব্রেরি রুলস, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, ওয়ান হেলথ, ছাত্রকল্যাণ, স্বাস্থ্যসেবা, শরীরচর্চা ইত্যাদি বিষয়াদি সম্পর্কে জানানো হয়। প্রোগ্রামগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ভর্তি মেলার সময়সীমা বাড়ল

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে আয়োজিত ভর্তি মেলা আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। স্প্রিং সেমিস্টার-২০২৫-এ ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম সিটির বায়েজিদ আরেফিন নগরে স্প্রিং সেমিস্টার-২০২৫-এ ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এ ভর্তি মেলা (এডমিশন ফেয়ার) গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত শুধুমাত্র মেলা উপলক্ষে ভর্তি ফিতে ৫০ শতাংশ ছাড়, গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামগুলোতে টিউশন ফিতে ২৫ শতাংশ, ফার্মেসি ও ইইই (আন্ডার গ্র্যাজুয়েট) বিভাগে টিউশন ফিতে ২৫ শতাংশ, ইসিই বিভাগের টিউশন ফিতে ৫০ শতাংশ ও ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের জন্য রয়েছে টিউশন ফিতে বিশাল ছাড়ে ভর্তির সুযোগ। এছাড়া, সব বিভাগে টিউশন ফিতে ১০-১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় (শর্ত প্রযোজ্য) এবং মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বৃত্তিসহ নানা সুযোগ সুবিধা। বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ইউনিভার্সিটির তথ্য অফিস (এডমিশন অফিস) অথবা সরাসরি ০১৭১১৩৯৫৯৭৭, ০১৯১১৮৮২৭৬৪, ০২৪১৩৮০১০৬-১৪ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়াও ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইট www.southern.ac.bd থেকে যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। যেসব বিষয়ে আবেদন করা যাবে- বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, ইংরেজি, ইসলামিক স্টাডিজ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই), ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(ইসিই), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, এলএলবি এবং এলএলএম।

আজ থেকে ২২ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ, অমান্যে কঠিন ব্যবস্থা

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচালিত মেডিকেল ভর্তি কোচিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এমনকি সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১-২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত সব মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারের অফলাইন ও অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডাক্তার রুবীনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে জানান, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আগামী ১ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে সব ধরনের মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে ভর্তি কমিটির সভায় প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ জানুয়ারি সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। ইতোমধ্যে এমবিবিএস ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

বিদেশে আর পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যের বই এখন থেকে আর বিদেশে ছাপানো হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বই ছাপা বাণিজ্য বা একচেটিয়া ব্যবসায়কে উন্মুক্ত করে আরও সুশৃঙ্খল করার চেষ্টা থাকবে।’ উন্নতমানের ছাপা, কাগজ ও মলাটের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আর বিদেশে বই ছাপানো হবে না। দেশেই ছাপা হচ্ছে।’ ‘শিক্ষাসহ সব মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে মুদ্রণ শিল্পের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত হয়ে যারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল তাদের অনেককে বদলি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য দুদককে বলা হবে।’বই বিতরণের ক্ষেত্রে বহু জায়গায় বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আগের বাজারমূল্যে বই ছাপা হয়েছে। যারা আমাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে, তাদের তালিকা করে আগামী বছর যারা সরকারে থাকবেন, তাদের দেয়া হবে।’দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে যেন বইয়ে থাকে, সেভাবেই শুদ্ধ বা পরিমার্জন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে নবম ও দশম শ্রেণিতে শুধু সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান পড়ানো হত। এখন উচ্চতর গণিত ও উচ্চতর বিজ্ঞানও পড়ানো হবে।’

ওয়ান হেলথ বিষয়ে সিভাসুর নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ওয়ান হেলথ্ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ওয়ান হেলথ্ বা এক স্বাস্থ্য বিষয়ে নবাগতদের ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। ওয়ান হেলথ্ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আহসানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আহসানুল হক বলেন, ‘অভিন্ন স্বাস্থ্য ভাবনায় নতুন শিক্ষার্থীদের যাত্রা শুরু হল। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মানুষের জীবন, প্রাণী, উদ্ভিদ ও পরিবেশের সাথে গভীরভাবে জড়িত। উদাহরণস্বরূপ জ়ুনোটিক রোগের প্রকোপ, পরিবেশ দূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের মত বিষয়গুলো সমাধানে প্রয়োজন সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি। এই সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয় ওয়ান হেলথ ধারণায়, যা মানুষ, প্রাণী, পরিবেশ ও উদ্ভিদের মধ্যকার সম্পর্ক বোঝার মাধ্যমে কার্যকর সমাধানের পথ দেখায়।’ আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল আন্তর্জাতিক ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতি, ওয়ান হেলথ্ ইয়ং ভয়েস, আন্তর্জাতিক কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ছাত্র সমিতি বাংলাদেশ, ওয়ান হেলথ্ কমিউনিকেশন সেল, সিভাসু ডিবেটিং সোসাইটি। সূচনা বক্তব্যের পরপরই শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণার উপর একটি বিশেষ ডকু-ড্রামা প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও, প্রতিটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের লক্ষ্য, কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। আকর্ষণীয় পর্বে ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা, ওয়ান হেলথ্ ডে উপলক্ষে ভিডিও প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ। নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ডিজিটাল পোস্টারের মাধ্যমে সংগঠনগুলোর কার্যক্রম উপস্থাপন।

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির মুট কোর্ট সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আইন বিভাগের মুট কোর্ট সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভা সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস সিটির বায়েজিদের আরেফিন নগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মুহিদুল ইসলাম জুলকানকে প্রেসিডেন্ট ও সায়মা শাহারিন তিহাকে জেনারেল সেক্রেটারি করে ১৫ জনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও, ১৮ জন সাধারণ সদস্যকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগের নতুন লোগো উন্মোচন, বারবিকিউ পার্টি, পুরস্কার বিতরণ, বিদায়ী সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আইনি রম্য; বিতর্ক যেখানে শিক্ষার্থীরা আইন নিয়ে মজার তর্ক-বিতর্কে অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া মমতাজ, সহকারী অধ্যাপক মুর্তজা ইসলাম জোহানজেব তারেক, সহকারী অধ্যাপক মো. ইয়াসিন, সহকারী অধ্যাপক রওশন জাহান ফারহানা, প্রভাষক খাদিজাতুল কুবরা মারিয়া, প্রভাষক জাহেদুল ইসলাম ও প্রভাষক তারিন হাসান।

প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক পেলেন চবির অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মো: মনজুরুল কিবরীয়া প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক পেয়েছেন। গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল আইয়ের ‘চেতনা চত্বরে তার হাতে এ পদক তুলে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, সুইডেন দূতাবাসের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মারটিনেজ বেকস্ট্রম এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ইমপ্রেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত সম্মাননা নিয়ে চবির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের সাথে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মনজুরুল কিবরীয়া। এ সময় চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন ও চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মোহামদ শামসিল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন। ইয়াহ্ইয়া আখতার বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২৩ অর্জন করায় মনজুরুল কিবরীয়াকে অভিনন্দন জানান এবং তার গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখে দেশ-জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।