সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির মুট কোর্ট সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আইন বিভাগের মুট কোর্ট সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভা সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস সিটির বায়েজিদের আরেফিন নগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মুহিদুল ইসলাম জুলকানকে প্রেসিডেন্ট ও সায়মা শাহারিন তিহাকে জেনারেল সেক্রেটারি করে ১৫ জনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও, ১৮ জন সাধারণ সদস্যকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগের নতুন লোগো উন্মোচন, বারবিকিউ পার্টি, পুরস্কার বিতরণ, বিদায়ী সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আইনি রম্য; বিতর্ক যেখানে শিক্ষার্থীরা আইন নিয়ে মজার তর্ক-বিতর্কে অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া মমতাজ, সহকারী অধ্যাপক মুর্তজা ইসলাম জোহানজেব তারেক, সহকারী অধ্যাপক মো. ইয়াসিন, সহকারী অধ্যাপক রওশন জাহান ফারহানা, প্রভাষক খাদিজাতুল কুবরা মারিয়া, প্রভাষক জাহেদুল ইসলাম ও প্রভাষক তারিন হাসান।

প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক পেলেন চবির অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মো: মনজুরুল কিবরীয়া প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক পেয়েছেন। গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল আইয়ের ‘চেতনা চত্বরে তার হাতে এ পদক তুলে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, সুইডেন দূতাবাসের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মারটিনেজ বেকস্ট্রম এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ইমপ্রেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত সম্মাননা নিয়ে চবির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের সাথে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মনজুরুল কিবরীয়া। এ সময় চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন ও চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মোহামদ শামসিল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন। ইয়াহ্ইয়া আখতার বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২৩ অর্জন করায় মনজুরুল কিবরীয়াকে অভিনন্দন জানান এবং তার গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখে দেশ-জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।

ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোসহ নয় দাবি চবির শিক্ষার্থীদের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচন ও নির্মিত হলগুলোতে আসন বরাদ্দসহ নয় দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের আবির বিন জাবেদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আরিফ মঈনুদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের আজাদ হোসেন, সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জশদ জাকির, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ওয়ালিদুর রহমান রাফিজ, ইংরেজি বিভাগের জালাল উদ্দীন মিজবাহ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ফারুক হোসেন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের নয় দাবির বাস্তবায়নের দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে, এখানে প্রশাসন যদি ফি না কমিয়ে এক হাজার টাকাই রাখে তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবো। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে আবেদন করে। এখানে এক হাজার টাকা আবেদন ফি কোনোভাবেই যৌক্তিক না।’ মানববন্ধনে আবির বিন জাবেদ বলেন, ‘আমাদের দাবি বিবেচনা করে প্রশাসন ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে আবারও বিজ্ঞপ্তি দিবেন। যদি তা না হয় তাহলে আমরা টানা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’ প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মী সাঈদ মুহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, ‘ভর্তি ফি কমানোর পাশাপাশি আমরা ক্যাম্পাসে যেসব গুপ্ত হামলা ঘটছে, সেগুলার বিচার চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গভীর রাতে কে কী করে সেগুলোর প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকলেও এতগুলো গুপ্ত হামলার দিকে কোন নজর নেই।’ পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফি কোথায় কোন খাতে খরচ হয় তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় চলে দেশের শ্রমিক, দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। ভর্তি পরীক্ষার ফি থেকে যদি প্রশাসন বাড়তি আয় করতে চায় তাহলে স্বৈরাচারী হাসিনার প্রশাসনের সাথে এই প্রশাসনের কোনো ফারাক নেই।’ শিক্ষার্থীদের নয় দাবি হল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা; মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু; বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ; ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনগুলোকে অফিস বরাদ্দ; অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ; অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন; প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েল উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ফি কমানোর বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। আগের বছরের খরচ বিবেচনা করে এ বছর ফি কমানো সম্ভব হয়নি। এই টাকার হিসাব জাতির সামনে পেশ করা হবে। এই ফি থেকে ৪০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে দিতে হয়। ঢাকা ও রাজশাহীতে পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় সেখানেও বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হয়। এছাড়া মুদ্রাস্ফীতি তো আছেই। সবমিলিয়ে ফি কমানো সম্ভব হয়নি।’ পোষ্য কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পোষ্য কোটা আমরা নির্দিষ্ট আসন থেকে দিচ্ছি না। কোন বিভাগে ১০০ আসন থাকলে এই আসনগুলোতে পোষ্য কোটা প্রযোজ্য হবে না। বরং, এর বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত হিসেবে ওই বিভাগে দুই বা তিনটি আসন রেখে পোষ্যদের ভর্তি নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ওই বিভাগে ১০২ বা ১০৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন।’

সংস্কার নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই: আমীর খসরু

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।’ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিভাসুর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। সমারম্ভ বক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট বিতাড়িত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জনগণের মনোজগতে যে পরিবর্তন এসেছে, তা সবাইকে বুঝতে হবে। যারা বুঝতে পারবে না, সেই রাজনীতিবিদ হোক, শিক্ষক হোক, তার কোন ভবিষ্যৎ নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের চিন্তা, ভাবনা, দর্শন একেবারে বদলে গেছে। যারা সেটা অনুধাবন করতে পারবে না, ধারণ করতে পারবে না এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে না, তাদের জন্য আগামীর বাংলাদেশ কঠিন হয়ে যাবে।’ নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমাদেরকে ভাল মানুষ হতে হবে। ভালে মানুষ না হলে শিক্ষার কোন মূল্য নেই। সর্বক্ষেত্রে ভিন্নমতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সিভাসুর ট্রেজারার প্রফেসর মো. কামাল, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ফেরদৌসী আকতার ও ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ। সিভাসুর পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর মোহাম্মদ রাশেদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে চারজন নবাগত শিক্ষার্থী তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য যে সুযোগ বাংলাদেশে রয়েছে, তা খুব কম দেশেই আছে। আমরা কিন্তু মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করিনি। আমরা বিনিয়োগ করেছি পদ্মা ব্রিজে, আমরা বিনিয়োগ করেছি টানেলে। কিন্তু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের বিনিয়োগ করা দরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। এই দুই খাতে বিনিয়োগ ছাড়া মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে সেটা চিন্তা করে বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দেড় বছর আগেই দিয়েছিলাম। সব সংস্কারের কথা ওখানে বলা আছে। সুতরাং, সংস্কার নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা জাতীয় সরকার করে ৩১ দফা সংস্কার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করব।’ মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বমানের পাঠ্যসূচি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি ও ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশনের মাধ্যমে সিভাসুর শিক্ষার্থীরা অর্জন করছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা। ইউরোপ-আমেরিকার আদলে দেশে প্রথম বারের মত এখানে চালু করা হয়েছে ‘প্রবলেম বেইসড লার্নিং’ পদ্ধতি।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ এবং এক স্বাস্থ্য নীতি বাস্তবায়ন তথা মানুষ, পরিবেশ ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে সিভাসু।’ মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জীবনে কি হতে চাও তা এখনই ঠিক করতে হবে। সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তাহলেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সততা ও নিষ্ঠার সাথে কঠোর পরিশ্রম করলে জীবনে সফলতা আসবেই।’ গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদে সর্বমোট ২৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড করা উচিত: সারজিস

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘বতর্মান সময়ে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্ট্রং করতে ও শিক্ষার মান বাড়াতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩ গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে আনা উচিত।’ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও এভারেস্ট ফার্মাসিটিউক্যালসের সহযোগিতায় পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাথাফাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও শীতবস্ত্র হিসেবে হুডি উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, ‘বতর্মানের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্ট্রং করতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশের মূল্য স্থিতির অবস্থা, একজন সন্তানকে পড়াশোনা করার যে খরচ। সেখানে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের যে গ্রেড তা দশম গ্রেডে আনা উচিত। কারণ, আমরা যদি শিক্ষকদের সেই সাপোর্ট বা সম্মানটা না দেই, খুব স্বাভাবিকভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বা দায়বদ্ধতা, সেটা তারা সেভাবে খুঁজে পাবে না এবং তাদেরকে জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্যদিকে মনোযোগ দিতে হবে। তো দুই দিকে মনোযোগ দিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের যে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সেটা আমরা দেখতে পাব না। আমরা যেমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করব, তেমনা আমাদের অবকাঠামোর দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আমাদের সম্মানিত শিক্ষক যারা রয়েছে, তাদের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে। আমরা চাই, তারা আরো বড় পরিসরে কাজ করুক। এখানে এক হাজারের মত শিশু শিক্ষার্থী আছে। তারা আগামী ২০ বছরে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এক হাজার সেক্টরে কাজ করবে।’ তারা যতটা ভাল করবে, তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় ততটা ভাল করবে। তথা বাংলাদেশ ততটা ভাল করবে বলেও মনে করেন সারজিস। অনুষ্ঠানে অংশ নেন রংপুর বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের যুগ্মসচিব ও পরিচালক আবু জাফর। তিনি শিক্ষক- শিশু শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত ও বর্তমান নিয়ে বলেন, ‘একটা দেশের বড় সম্পদ মানুষ বা হিউম্যান রিসোর্স। এই দেশের মানুষকে যদি দেখভাল ও নার্সিং করি তবে দেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব।’ অনুষ্ঠানে আজিজনগর ব্রাইড স্টার পাঠাগারের সভাপতি তাজ উদ্দীন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও আকরাম হোসেন জাকারিয়ার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকির হোসেন, ডিরেক্টর মোহাম্মদ মণ্জু মোল্লা, শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কবীর আহমেদ আকন্দ, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা এনায়েত কবীর, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন রণ্জু, সদস্য সচিব রেজাউল করিম শাহিন।

নূরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ

নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৮তম সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ। সারাদেশের মোট ১০৯২টি কেন্দ্রে ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সমাপনী পরীক্ষা হয়েছে। এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার ২৩০ জন। ফলাফল দেখা যাবে (www.nooraniboard.com) এই ওয়েবসাইটে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বোর্ডটির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন। পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে, প্রতিটি গ্রামে-পাড়া মহল্লায় নুরানি মাদরাসা, নুরানি স্কুল, নুরানি মকতব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে। তিনি আরও বলেন, তরুণ আলেমরা এগিয়ে এলে শায়খুল কুরআন আল্লামা কারী বেলায়েত হুসাইন রহ. প্রতিষ্ঠিত নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড সব রকমের সহযোগিতা করবে। আগামীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশু বান্ধব হোক এই প্রত্যাশা করি। পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব মাওলানা ইসমাঈল বেলায়েত হুসাইন বলেন, শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন তারা সেভাবেই গড়ে ওঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড। তিনি আরও বলেন, দেশব্যাপী নূরানী মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে জাতিকে সুসন্তান উপহার দেওয়ার কাজটি নূরানী বোর্ড করে যাচ্ছে। আগামী দিনেও আমাদের এই ধারা চালু থাকবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ার ইসলামের বার্তা সম্পাদক কাউসার লাবীবের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জামিয়া পটিয়ার পরিচালক মুফতি আবু তাহের কাসেমী নদভী, জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী, আলেম লেখক ও মুহাদ্দিস মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, বেফাকের সহ সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, কোরআন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, খুলনা নূরানী বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) এর পরিচালক মাওলানা আবু মোরতাজা মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, মাওলানা ইসহাক মামুন, ইকরা নূরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, সিলেট নূরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা বশির আহমদ, চট্টগ্রাম নূরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, বার্তা ২৪ এর সহকারী সম্পাদক মুফতি এনায়েতুল্লাহ, ঢাকা মেইলের বার্তা সম্পাদক জহির উদ্দির বাবর, আওয়ার ইসলামের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব, সময় টিভির সিনিয়র সাব-এডিটর মুফতি আবদুল্লাহ তামিম প্রমুখ।

নতুন যাত্রায় আগামীর ওলসা

ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ঢাকা ১৯৬১ সাল থেকে “আলো আরো আলো” এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন “ওল্ড ল্যাবরেটরিয়ান্স এ্যাসোসিয়েশন (ওলসা)” ১৯৭৬ সাল থেকে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেন, যার ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মত হাইব্রিড পদ্ধতিতে ওলসা তাঁদের নির্বাচন কার্যক্রম চালায়। যার ফলে, দেশে ও দেশের বাহিরে অবস্থানরত ল্যাবরেটরিয়ানরা অনলাইনে ও সশরীরে স্কুলের প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে ভোট দেন। ভোট গ্রহণের দিন বিভিন্ন বয়সের ল্যাবরেটরিয়ানদের উপস্থিতিতে স্কুলের প্রাঙ্গণ ল্যাবরেটরিয়ানদের মহামিলন মেলায় পরিণত হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ও অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্কুলের প্রাঙ্গণে এই নির্বাচনের আন-অফিশিয়াল ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরবর্তী সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ওলসার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ নির্বাচনের অফিশিয়াল ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রথম ওলসা নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক আজম সিদ্দিকী, ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ এনামুল হক, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, তারেক ভূঁইয়া জুন, তানভীর হায়দার পাভেল, সাইদুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন অনিক আর হক, জয়েন্ট সেক্রেটারি নির্বাচিত হন সামিউন নবী ও মাসুদ পারভেজ, ট্রেজারার নির্বাচিত হন মো. সালেহ উজ জামান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হন সিকদার মারুফ ইয়াজদানী, জয়েন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি নির্বাচিত হন মো. রাশিদুল ইসলাম, লিগাল এন্ড কমপ্লায়েন্স সেক্রেটারি নির্বাচিত হন কর্নেল (অব.) মনিরুল ইসলাম, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স সেক্রেটারি নির্বাচিত হন হাসিব হাসান চৌধুরী, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন সেক্রেটারি নির্বাচিত হন এনাম এলাহী মল্লিক, স্পোর্টস সেক্রেটারি নির্বাচিত হন মো. নুরুদ্দিন আল মাসুদ, কালচারার সেক্রেটারি নির্বাচিত হন সাফওয়াত ইয়ামীন সিরাজ সৌম্য, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি নির্বাচিত হন আহমেদ হুমায়ুন মোর্শেদ, অফিস সেক্রেটারি নির্বাচিত হন ফয়সাল কুদ্দুস এবং এক্সিকিউটিভ মেম্বার নির্বাচিত হন মো. সাইফ হোসেন নিয়ন, ইমরুল হক শাওন, ইফতেহাদুল ইসলাম ফাহিম, মইনুল ইসলাম মাহিন, আবীদুল মুহাইমিন, রাশেদুজ্জামান খান তন্ময়, অদম্য গহীন রেজা, শরীফ আহমেদ শশী। ওলসার সংবিধান মোতাবেক অফিশিয়াল ফলাফল প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচিতরা ২০২৫-২০২৬ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের কার্যক্রম শুরু করবেন।

সহ-সমন্বয়ক খালেদ ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি

চার দিন নিখোঁজ থাকার পর ফিরে আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) তার ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকা আরবি বিভাগের একই বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, খালিদ গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নিখোঁজ হন। ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘খালেদের খোঁজে আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিলাম। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই, তিনি হলে ফিরেছেন। সঙ্গে সঙ্গে হলে গিয়ে তাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি খুব ক্লান্ত ও দুর্বল ছিলেন। তিনি কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। এ জন্য আমরা তখন কেউ তার সঙ্গে কোন কথা বলিনি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসে এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।’ তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কি না জানতে চাইলে ওই সহপাঠী বলেন, ‘হলে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। তবে সেরকম কোন চিহ্ন পাইনি।’ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ঢোকেন এবং এর কিছুক্ষণ পর একাই কাউন্টার থেকে বের হন। এরপর আবার তাকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে কোন ফোন ছিল না। তার ব্যবহৃত ফোনটি হলেই ছিল। ওই দিন কমলাপুর কাউন্টার থেকে তিনি টিকিটও কাটেননি। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ওই সহ-সমন্বয়ককে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাকে কেবিনে ভর্তি রাখেন। এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. ফারুক শাহ ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে খালেদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তারা খালেদের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। পরে উপাচার্য ডিউটি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। ডাক্তার জানান, খালেদের শারীরিক অবস্থা মোটামোটি ভাল। তবে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। এরপর উপাচার্য জ্যেষ্ঠ ডাক্তার দিয়ে খালেদের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন এবং তার চিকিৎসায় যেন কোন ধরনের উদাসীনতা পরিলক্ষিত না হয়, সে বিষয়ে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন। ঢাবির আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে থাকেন।

বই ছাপা-বিতরণ কাজের চাপ: এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিকসহ সব ছুটি বাতিল

বছরের প্রথম দিনে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয় সরকার। জুন মাস থেকে এ বই ছাপার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এবার যথাসময়ে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে, শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে, এনসিটিবি জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৎপর। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ সবাই দিনরাত পরিশ্রম করছেন। প্রতিদিন তারা বাড়তি সময় কাজ করছেন। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কর্মকর্তারা অফিস করছেন। এবার পাঠ্যবই ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ মনিটরিং এবং বিতরণ কাজ ত্বরান্বিত করতে সব কর্মকর্তা-কর্মমচারীর সাপ্তাহিক ও নৈমিত্তিকসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করেছে এনসিটিবি। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এনসিটিবির সচিব শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌসের সই করা অফিস আদেশে সব ধরনের ছুটি বাতিলের এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের নিমিত্তে মনিটরিং কার্যক্রম চলমান। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিধায় বোর্ডে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর (সেসিপ প্রকল্পসহ) নৈমিত্তিক ও সাপ্তাহিক ছুটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হল।’ এ নিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান একেএম রিয়াজুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আজকে এটা অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। মৌখিক বা অভ্যন্তরীণ নির্দেশনায় দুই মাস ধরে সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে অনেকের। জাতির স্বার্থে আমরা ছুটি বিসর্জন দিয়েছি। আশা করছি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে সক্ষম হব আমরা।’ এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপার কাজ শেষ দিকে। চতুর্থ ও পঞ্চমের বই ছাপার কাজ চলমান। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইও ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। নবম শ্রেণির বই ছাপা দ্রুত শুরু হবে। আর দশম শ্রেণির বই দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বই ছাপার কাজ চলমান। কিছু বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকের বই জানুয়ারির প্রথম দিকেই শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবে। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির অন্তত তিনটি বই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হবে। আর দশম শ্রেণির বাকি বইগুলো ১০ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়া সম্ভব হবে। অন্যান্য শ্রেণিগুলোর বই জানুয়ারির মধ্যেই আমরা শিক্ষার্থীদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সুইডেন পলিটেকনিক পরিদর্শন

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন। মূলত একাডেমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে এ সফরের আয়োজন করা হয়। ইইই বিভাগের অধ্যাপক প্রকৌশলী আশুতোষ নাথ, রুবেল কান্তি দাশ, তাজরিন জাহান রুমকি ও সুস্মিতা সেনের তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী এই সফরে বিভাগের চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ও ল্যাব এডমিনিস্ট্রেটরের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবের যন্ত্রপাতি, ল্যাবের অল্টারনেটর, ট্রান্সফরমার অয়েল টেস্টিং মেশিন ও উইন্ডমিল অপারেশন পর্যবেক্ষণ করেন। এই সফরে ছাত্রছাত্রীরা কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিল, বাঁধ ও অন্যান্য স্থাপনা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পায়।

২০২৫ সালে মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের বার্ষিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় থাকা দীর্ঘ ছুটিগুলো হল রমজানের ছুটি শুরু হবে ২ মার্চ থেকে। ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে সেসময় টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ ছুটির পর ৮ এপ্রিল পুনরায় ক্লাস শুরু হবে। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশেও টানা ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ছুটি থাকবে। এ ছুটি শুরু হবে ১ জুন, চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত। দুর্গাপূজায় এবার আট দিন ছুটি রাখা হয়েছে। অবশ্য এ ছুটির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজ দহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটি পড়বে। অন্য দিকে, প্রতি বছরের মত এবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে সংরক্ষিত তিন দিন ছুটি রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান যখন প্রয়োজন তখন এ ছুটিগুলো দিতে পারবেন। এর বাইরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে। শিক্ষা ছুটিতে আরও বলা হয়েছে- শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ সাল পর্যন্ত। সরকার ঘোষিত নির্দেশনার আলোকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে; উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাক নির্বাচনি পরীক্ষা, নির্বাচনি পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময় ১২ কর্মদিবসের বেশি হবে না; স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত) নিজেরাই প্রণয়ন করবেন। কোন অবস্থাতেই অন্য কোন উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না; পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোন বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে; সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) ব্যতীত বছরে মোট ছুটি থাকবে ৭৬ দিন; কোন সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষ্যে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না; ছুটিকালীন অনুষ্ঠেয় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন ও অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে এবং এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ব্যতীত অন্যান্য বিদ্যালয়সমূহে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পঙ্গু হওয়ার পথে: শিক্ষা উপদেষ্টা

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্তরে শিক্ষক নিয়োগে ভয়াবহ রকম দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পঙ্গু হওয়ার পথে। তবে, এত অসুবিধা ও সমস্যার মাঝেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো অনেক শিক্ষক আছেন, যারা আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ পর্যায়ের গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শুধু রাজনৈতিক আলাপ হয়, মেধাবী শিক্ষকরা আড়ালে পড়ে থাকেন। বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে।’ রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘উচ্চ শিক্ষায় বৈশ্বিক মান: বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘প্রথম বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা সম্মেলন ২০২৪’-এর একটি পর্বে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ ক্রমাগত নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি, ছাত্ররাজনীতির নামে দুর্বৃত্তায়ন। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগে প্রচণ্ড অনিয়মও দায়ী।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের আলোচনায় গবেষণা নয়, শুধু রাজনীতি থাকে। এমন পরিস্থিতি তৈরির কারণগুলোকে আমলে নিয়েই এগোতে হবে।’ শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শুধু রাজনৈতিক আলাপ হয়, মেধাবী শিক্ষকরা আড়ালে পড়ে থাকেন। কেন তাদের আড়ালে থাকা বা কোনঠাসা হয়ে থাকা তা জানতে হবে।’ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সম্প্রতি আন্দোলনের পর প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই অভিভাবকহীন হয়ে গিয়েছিল। উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিল না। এ থেকেই বোঝা যায়, নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন রাজনৈতিক দলীয়করণ হয়েছে যে, সরকার পরিবর্তনের ফলে সবাইকে চলে যেতে হয়েছে।’

‘ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশান’: গোপনে ছবি তুলে পোস্ট, অশ্লীল মন্তব্যে ক্ষুব্ধ চবির শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এখন আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশান’ নামের ফেসবুক পেজ। এই পেজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছবি গোপনে তুলে পোস্ট করা ও তাতে অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষার্থীরা চরম বিব্রত ও ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চবির বুদ্ধিজীবী চত্বরে এর প্রতিবাদে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এতে তারা সাইবার বুলিং বন্ধ ও অপরাধীদের বিচারের দাবি জানান। মানববন্ধনে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি অন্তর সফিউল্লাহ বলেন, ‘ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশান’ পেজের নামে বিনা অনুমতিতে ছবি তুলে পোস্ট করা হচ্ছে, যা আইনগত অপরাধ ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন। এভাবে অন্যের পার্সোনাল স্পেসে হস্তক্ষেপ করা ও বুলিং করা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এসব পেজে অশ্লীলতা প্রোমোট করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। আমরা এগুলো বন্ধের দাবি জানাই ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই।’ চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী নওশিন নাওয়াল ফাতিমা বলেন, ‘ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশান’ পেজগুলো যেন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। কারো অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা এবং তা অনলাইনে প্রচার করা একটি জঘন্য অপরাধ। বিশেষত, ক্যাম্পাস ও শাটল ট্রেনে কিছু ব্যক্তি মেয়েদের গোপনে ছবি তুলে অনলাইনে পোস্ট করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রশাসনের উচিত এসব অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা।’ চবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, ‘এই ধরনের পেজ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণ করছে। বিশেষত গ্রামীণ জনপদ থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সাইবার বুলিং বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করছি।’ মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা একযোগে বলেন, ‘এসব পেজের মাধ্যমে অনলাইনে অশ্লীলতা ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সেইসঙ্গে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।’ শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সাইবার বুলিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে তারা সচেতনতার মাধ্যমে এমন অপরাধ রোধের আহ্বান জানান।

সরকারের কাছে পাঁচ দাবি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের

মাতাল চালকের প্রাইভেট কারের ধাক্কায় সহপাঠী নিহতের ঘটনায় শনিবারও (২১ ডিসেম্বর) প্রতিবাদমুখর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ পাঁট দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ঝাঁঝালো স্লোগান-মিছিলে প্রকাশ করেন প্রতিবাদের ভাষা। ‘আর নয় প্রাণহানি, সড়ক হতে হবে নিরাপদ’, দাবি উঠছে শিক্ষার্থীদের সোচ্চার কণ্ঠে।বিক্ষোভ মিছিলের আগে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করেন, নানা উপায়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে, যা শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, এটি কোন দুর্ঘটনা নয়। বরং, চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে আমাদের একজন সহপাঠীকে হত্যা করেছে এবং দুইজনকে গুরুতর আহত করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা কোন ধরনের হুমকি পাইনি। কিন্তু, সেটেলমেন্টের চেষ্টা করেছেন উনারা। সেটা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।’‘অভিযুক্তদের আইনজীবী গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে কিছু সংবাদ মাধ্যমেও এই হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’তারা আরো বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দেশের বিচারব্যবস্থাকে একটি গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করুন; অপরাধী যে পরিবারেরই সদস্য হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, এই ব্যাপারটি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক; হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার অবশ্যই বিবাদীপক্ষকে বহন করতে হবে এবং নিহতের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূর দিতে হবে।’ঢাকার পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বেপরোয়া প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত হন বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ। আহত হন আরও দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামির ডোপ টেস্টে মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলির নীতিমালা জারি

বেসরকারি শিক্ষক (স্কুল-কলেজ) নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। একই সঙ্গে গত ১ আগস্টে জারি করা নীতিমালাটি বাতিল করা হয়েছে।বদলির সাধারণ শর্ত বলা হয়েছে-১. বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্যপদের চাহিদা বা বিবরণ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করবে।২. প্রকাশিত শূন্যপদের বিপরীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বদলির আবেদন আহ্বান করবে।৩. সমপদে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলির জন্য ১ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ জারি হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন হবে।৪. আবেদনকারী শিক্ষক তার চাকরির আবেদনে উল্লেখকৃত নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করবেন। তবে নিজ জেলায় পদ শূন্য না থাকলে নিজ বিভাগের যেকোনো জেলায় বিদ্যমান শূন্য পদের বিপরীতে বদলির আবেদন করতে পারবে।৫. প্রথম যোগদানের পর চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করার জন্য যোগ্য হবেন।৬. বদলি হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যূনতম দুই বছর কর্মে নিয়োজিত থাকার পর পরবর্তী বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।৭. একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ দুইবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলির সুযোগ পাবেন।৮. একটি শূন্য পদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী ও দূরত্ব বিবেচনায় বদলি অনুমোদন করা হবে।৯. চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে সিনিয়রিটি গণনা করা হবে।১০. একটি পদের জন্য প্রতিযোগী সব আবেদনকারী কর্মস্থল একই উপজেলায় হলে তাদের কর্মস্থল উপজেলার কেন্দ্র হতে কাঙ্ক্ষিত উপজেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সবার জন্য প্রযোজ্য করতে হবে।১১. একটি পদের জন্য প্রতিযোগী আবেদনকারী বিভিন্ন উপজেলার হলে তাদের কর্মস্থল জেলার কেন্দ্র হতে কাঙ্ক্ষিত জেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সকলের জন্য প্রযোজ্য করতে হবে।১২. একটি পদের জন্য প্রতিযোগী আবেদনকারী বিভিন্ন জেলার হলে তাদের স্ব স্ব জেলার কেন্দ্র হতে কাঙ্ক্ষিত জেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করতে হবে।১৩. দূরত্ব পরিমাপের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে।১৪. অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য সংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না। ইচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তি আরোপ করা হবে।১৫. বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এনটিআরসিএ অবশিষ্ট শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে।আবেদন নিষ্পত্তি যেভাবে:১. বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।২. মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে।৩. বদলিকৃত শিক্ষকের ইনডেক্স পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে বদলিকৃত প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার হবে।৪. বদলিকৃত শিক্ষকের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জৈষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।

এসএসসি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন দাবিতে মানববন্ধন

এসএসসি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন পূর্বক নতুন রুটিন প্রকাশ এবং উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ দিন সরকারি ছুটির দাবিতে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন সদরের বিভিন্ন স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ শাখার পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি ধনরঞ্জ ত্রিপুরার সঞ্চলনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মায়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনোতোষ ত্রিপুরা, সহ-সাধারণ সম্পাদক পিন্টু চাকমা প্রমুখ।বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈ-সা-বি উৎসবের দিনে নির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষার (২০২৫) তারিখ পরিবর্তনপূর্বক নতুন রুটিন প্রকাশ এবং পাঁচ দিন সরকারি ছুটি দাবি জানায়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মাউশির ডিজির দায়িত্ব পেলেন রেজাউল করিম

শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীম। তিনি কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক ছিলেন। গেল ৫ আগস্টের পর মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ পদত্যাগ করায় তাকে মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার তিনি চলতি দায়িত্ব পেলেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রেজাউল করিমের মূল পদ ছিল মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন)। নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গেল ৬ জুন তাকে মাউশি অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক করা হয়। তিনি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন। গেল ২৫ আগস্ট থেকে তিনি মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে গেল ৬ জুন তাকে মাউশি অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক করা হয়। সাধারণ সরকারি ও বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজ ও প্রফেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, বদলি, পেনশন, এমপিওভুক্তি এবং শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান প্রধান কাজ।

কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার

কয়েক দিনের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘দেশে-বিদেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য, সুপরিচিত, মেধাবী ও দক্ষতাসম্পন্ন লোকদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।’ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়ায় ডেফোডিলস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে ডিন‌’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ সহকারী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সব সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করছে সরকার।’ বিশেষ সহকারী আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হওয়ার প্রবণতা জাগ্রত করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষাথীর ভিশন থাকতে হবে প্রথম হওয়া। দ্বিতীয় হওয়ার চিন্তাভাবনা শিক্ষাথীদের মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। কারণ, শিক্ষার্থীদের টপার হওয়ার মত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, খেলার মাঠ, বিভিন্ন কনভেনশন, পঞ্চাশটির অধিক ক্লাব, মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকমণ্ডলী রয়েছে এই ইউনিভার্সিটিতে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইংরেজিকে একটি বিষয় না ভেবে ইংরেজিতে প্রত্যেককে দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দেশে ও বিদেশে কর্মক্ষেত্র তৈরি, কর্মদক্ষতা অর্জন, গবেষণা ও অন্যান্য সব কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় তরুণ ও কিশোরদের ক্রিয়েটিভিটিকে মূল্যায়ন না করে মুখস্থবিদ্যাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। যার কারণে শিশুকিশোরদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়ে যায়। তোমরা সবাই নিজেকে একজন কর্মদক্ষ উদ্ভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তাহলেই আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’ আমিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উপর জোর দেন এবং শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিল্পব পরবর্তী এআইয়ের সাথে উপযোগী হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিভাগের ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিন'স অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষক বাকি ১৯ জন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৫তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ২৬৫তম সিন্ডিকেটে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ তবে, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নাম ওপদবি জানানো হয়নি। ঠিক কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আমাকে আটকে রেখে হেনস্তার কোন ঘটনা ঘটেনি: অধ্যাপক আনোয়ার

ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ও দক্ষিণ ছাত্রাবাসের প্রভোস্ট আনোয়ার মাহমুদকে ‘আটকে রেখে হেনস্তা’র অভিযোগে ছাত্রদলের একাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও সেই শিক্ষক বলেছেন, ‘কলেজে তাকে আটকে রাখা বা হেনস্তার কোন ঘটনাই ঘটেনি।’ একজন শিক্ষক হিসেবে মিথ্যা বলার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন আমাকে হেনস্তার কোন ঘটনা ঘটেনি। ছাত্ররা আমার কাছে হলের সিট চেয়েছিল। আমি বলেছি, আমার সিট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এখন ডিপার্টমেন্ট থেকেই সিটের জন্য সুপারিশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ছাত্রদের জন্য সিট বরাদ্দ করা হয়। এসব নিয়ে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। আটকে রেখে হেনস্তার বিষয়টি মিথ্যা। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।’ আনোয়ার মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমাদের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন জেমিনের সাথে আমার পরিচয় আগে থেকেই রয়েছে। সে ভাল ছেলে। সে বা অন্য কেউ আমার সাথে কোন ধরনের বেয়াদবি বা হেনস্তা করেনি। আমাকে আটকে রেখে হেনস্তার কোন ঘটনাই ঘটেনি।’ উল্লেখ্য, গেল সেপ্টেম্বরে ঢাকা কলেজের হলে শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়ার বিষয় নিয়ে আনোয়ার মাহমুদকে ছাত্রদলের নেতারা আটকে রেখে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন জেমিন এবং সহ-সভাপতি সিরাজ উদ্দিন বাবুকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপর একই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দুই সহ-সম্পাদকের পদ স্থগিত করা হয়। ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজ ছাত্রলীগের আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষক হেনস্তার ভুয়া খবর ছড়ায়। সেই ঘটনার বিস্তারিত জানাতে গিয়ে আনোয়ার মাহমুদ জানালেন, সেদিন তাকে আটকে রেখে হেনস্তার কোন ঘটনাই ঘটেনি।

স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০ টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৯৮ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ১২ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন গ্রহণ চলে। এই প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০ টি সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ টি আবেদন জমা পড়ে। আর ৩ হাজার ১৯৮ টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ টি আবেদন গৃহীত হয়। এই আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এতে আরও জানানো হয়, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সকল কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়। মাউশি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএসএস পদ্ধতি GSA<Space> Result<Space>User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নাম্বারে।

রাজনীতিবিদরা যে প্রতারণা করছেন তা আমরা দেখছি: হাসনাত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদরা আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন, এটা আমরা দেখছি। আমরা যেভাবে অতীতকে বর্তমানের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি, ঠিক একইভাবে আপনাদের বর্তমান ভবিষ্যতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রশিবিরের ‘সাতচল্লিশ-একাত্তর-চব্বিশ: আমাদের বিজয়ের পথপরিক্রমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় হাসনাত বলেন, ‘আমাদের বর্তমানে রাজনীতিবিদ যারা রয়েছেন, আপনারা সংসদভবনমুখী হচ্ছেন; ‘শিগগিরই হবেন-যাবেন, মিনিস্ট্রি দখল করবেন, গাড়িতে পতাকা উড়বে; কোন সমস্যা নেই। আমরা রক্ত দিয়েছিলাম, যেন আপনাদের যাদের গাড়িতে পতাকা ওঠার যোগ্য, তারাই আসে। তবে, আপনারা আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন, এটা আমরা দেখছি।’ তিনি আরা বলেন, ‘আজকের প্রোগ্রামের টাইটেল ‘৪৭, ‘৭১ ও ‘২৪-এর বিজয়ের পরিক্রমা। ৪৭-এ যদি বিজয় হইত তাহলে ৭১ হইত না, আবার একাত্তরে বিজয় হইলে ২৪ হইত না। এটা আসলে বিজয়ের পরিক্রমা না, এটা হচ্ছে জাতি হিসেবে আমরা যে প্রতারিত হয়েছে, সেই প্রতারণার পরিক্রমা। আমরা ৪৭, ৭১-এ প্রতারিত হয়েছি। ২৪-এ প্রতারিত হচ্ছি কিনা সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বারবার প্রতারিত হয়েছি বলেই আমাদের চব্বিশের অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু, জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জা নেই। যে সংবিধান রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, ৫ আগস্ট পরে কিছু কিছু রাজনীতিবিদদের সেই সংবিধানের প্রতি বিশাল মমত্ববোধ তৈরি হয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আবার আমাদেরকে প্রতারণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’ হাসনাত বলেন, ‘৭২ সালে আমাদের একটি সংবিধান বানাইছে, এটা স্রেফ একটা গার্বেজ। আজকে রাষ্ট্রপতির দাওয়াত ছিল, যে রাষ্ট্রপতি এই সংবিধান থেকে আসছে। ৫ আগস্ট এই সংবিধান শেষ। ওই দিনই রাষ্ট্রপতি শেষ। ফলে, ওনার দপ্তর থেকে দাওয়াতে আমি যাব, এটা আমার নিজের সঙ্গে প্রতারণা। আজকে যারা রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে গিয়েছে, তারা বিপ্লবে বিশ্বাস করে না অথবা তারা মনে করে সংবিধানে তাদের একটা স্টেক আছে।’ ৭২’-এর সংবিধান বিদেশ থেকে আমদানি করা মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, ‘গণপরিষদ করা হল, বিদেশে ঘুরতে গেলাম জনগণকে রিসার্চ করলাম না, জনগণের সঙ্গে কথা বললাম না। বিদেশ থেকে এখানে ইমপোর্ট করলাম এটা। এভাবে প্রতারিত হয়েছি বলেই ২৪’এর অবতারণা হয়েছে।’ ঢাবি শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে সভায় যুক্তরাজ্যের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মির্যা গালিব, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার বক্তব্য দেন। সভায় বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আসার কথা থাকলেও তারা আসেননি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিজয় র‍্যালি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে র‍্যালি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রদল। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চবির জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে কাটা পাহাড় শহীদ মিনার অতিক্রম করে স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যে বিজয় র‍্যালি শেষ হয়। এ সময় চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন উর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালিতে চবি ছাত্রদলের বিভিন্ন হল, ফ্যাকাল্টি ও বিভাগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত

ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচী শুরু করলে বিকালে এই ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য একাডেমিক অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান। শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে সব কার্যক্রম চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোন আন্দোলনে যেতে না হয়, সেজন্য সব প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। শিক্ষার্থীদের চাওয়া মানে আমাদেরই চাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ চারুকলার পরবর্তী একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে থাকার কথাও জানিয়েছেন শামীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে চবির কলা ভবনে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে পুনরায় স্থানান্তর করব।’এর আগে ২০১২ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম সিটির চকবাজার থানাধীন বাদশা মিয়া রোডে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় চারুকলাকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করেন।