ন্যানো টেকনোলজি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:৩৯ পিএম, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, ‘ন্যানো টেকনোলজি দ্রুত বর্ধনশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্র; যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে নতুন ওষুধ, থেরাপি ও সার্জারির পদ্ধতি তৈরি করা সম্ভব হবে। আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে রোগ নির্ণয় করা যাবে ন্যানো-ডায়াগনস্টিকস ব্যবহার করে। বিজ্ঞানীরা ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে এমন নতুন উপকরণ ও ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছেন। যা আরও শক্তিশালী, টেকসই, কার্যকর ও সুরক্ষিত হবে। ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে দূষণ কমানো ও পরিবেশ রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।’
চুয়েটের রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ন্যানোটেকনোলজি: দ্যা টাইনি রিভল্যুশন শেপিং দ্যা ফিউচার অব এনার্জি, হেলথ এন্ড দ্যা এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারের তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিন ভূইয়া আরো বলেন, ‘ন্যানো-ফুয়েল সেল ব্যবহার করে পরিবহন থেকে নির্গত দূষণ কমানো যাবে। ন্যানো-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে ভবনগুলোকে শক্তিশালী ও টেকসইভাবে নির্মাণ করা সম্ভব হবে। ন্যানো টেকনোলজি উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলোকে আরও দক্ষ ও টেকসই করা সম্ভব হবে। ন্যানো-প্রক্রিয়াকরণ ব্যবহার করে পণ্যগুলোকে দ্রুত ও সস্তায় তৈরি করা সম্ভব। শক্তপোক্ত ও টেকসই মানের পণ্য উৎপাদনে ন্যানো-সামগ্রীর ব্যবহার বিপ্লব ঘটাতে পারে। এনার্জির ক্ষেত্রে, ন্যানো ম্যাটারিয়ালগুলো সোলার সেলের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলছে, যা রিনিউবেল এনার্জির ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, ‘ন্যানো স্ট্রাকচার্ড ব্যাটারি ও সুপার ক্যাপাসিটর শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে সাহায্য করছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা ধরে নিতে পারি, ন্যানো টেকনোলজি ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা, শক্তিশালী ইলেকট্রনিক্স এবং টেকসই পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে। তবে, এর সাথে থাকা নৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করাও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এই প্রযুক্তি মানবকল্যাণে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগানো যায়।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক এএইচ রাশেদুল হোসেন।
সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন আমেরিকার মেরিল্যান্ড বাল্টিমোরের কোপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যানোটেকনোলজি সেন্টারের ফাউন্ডিং ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য দেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাশ্বত রবি।
চুয়েটের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছা. রোকসানা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সানজিদা মুকুট।