চুয়েটে ‘ইন্সপায়ারিং ফিউচারস: নলেজ এন্ড পাথওয়েস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত


Jan 2025/Cuet ins.jpg

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের উন্নতি মানেই দেশের সার্বিক উন্নতি। এ দেশের তরুণেরা যত বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে উন্নত হবে, বাংলাদেশও তত উন্নতি সাধন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জ্ঞানবিজ্ঞানের নিত্যনতুন দিক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবেন, সৃজিত জ্ঞান ও পরিবর্তিত ধারণা পরস্পরের মধ্যে বিতরণ করবেন, এরকমটাই প্রত্যাশিত। পরীক্ষালব্ধ এই জ্ঞানকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল হওয়ার মাধ্যমে দেশ হবে সমৃদ্ধ।’

চুয়েটে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘ইন্সপায়ারিং ফিউচারস: নলেজ এন্ড পাথওয়েস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের আয়োজনে ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম। এতে স্পিকার হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রবীর সরকার, দি ইউনিভার্সিটি অব এডিলেড অস্ট্রেলিয়ার প্রভাষক ড. তাফসিরুজ্জামান, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. ইফতেখার খান, টিপিজি টেলিকম অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ও নিউসাউথওয়েলস গভর্মেন্টের সাইবার সিকিউরিটির হেড চৌধুরী মাহমুদ। 

চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারের মডারেটর ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ও চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের নির্বাহী কমিটির ক্যারিয়ার এন্ড হায়ার এডুকেশন সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া আরও বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে দক্ষ জনশক্তি। দেশগুলো তাদের মানবাধিকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে। এতে ওই দেশগুলো শক্ত ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব বাজারেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে, যাদের ভিত্তি সম্পূর্ণরূপে দক্ষ জনশক্তির ওপর নির্ভরশীল। কারণ দেশগুলো তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অবলোকন করে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণে মূল প্রকল্প তৈরি করেছে দক্ষ জনশক্তিকে কেন্দ্র করে। এতে দেশগুলোর নাগরিক চাহিদা অর্জিত হচ্ছে এবং পূরণ হচ্ছে অর্থনীতির ঘাটতিগুলো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষ জনশক্তি নির্মাণ করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত দেশের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এখন সময় এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক শিক্ষা থেকে নিজ নিজ পেশায় দক্ষ ও পেশাদার কর্মী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে, ঘুচবে বেকারত্বের অভিশাপ।’

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×