একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষা কোটার অপব্যবহার রুখতে বোর্ডের নির্দেশনা


একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষা কোটার অপব্যবহার রুখতে বোর্ডের নির্দেশনা

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত ইকিউ-১ ও ইকিউ-২ কোটার ক্ষেত্রে নতুন শর্তাবলি জারি করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। কোটার সুবিধা গ্রহণ করতে হলে প্রার্থীদের যথাযথ প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে, অন্যথায় ভর্তি বাতিল হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির সম্প্রতি এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেন। এতে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে ইকিউ-১ ও ইকিউ-২ কোটায় আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে।

ইকিউ-১ (এডুকেশন কোটা-১) শুধুমাত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য। অন্যদিকে ইকিউ-২ (এডুকেশন কোটা-২) প্রযোজ্য হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৮টি দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য। এই ২৮টি দপ্তরের মধ্যে রয়েছে— বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, ব্যানবেইস, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থা।

সরকারি স্কুল, সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল-অ্যান্ড-কলেজ এবং সরকারি শিক্ষা অফিসে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানের ক্ষেত্রেও ইকিউ-২ কোটার সুযোগ প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এই কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রমাণপত্র বা প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রমাণপত্র না দিলে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কোটা সুবিধায় আবেদন বা নিশ্চয়ন করেছেন। এমন শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে আবেদন বা নিশ্চয়ন বাতিল করে নতুনভাবে আবেদন করতে।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। বাকি ৭ শতাংশ সংরক্ষিত কোটার মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য (ইকিউ-১) এবং ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থা ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য (ইকিউ-২) বরাদ্দ থাকবে।

তবে সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×