বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১.২ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:০৫ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.২ শতাংশে, আর শ্রমবাজারেও দেখা দিয়েছে বড় ধরনের মন্দা; বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে এমনই এক চিত্র। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এবং একই সঙ্গে কমেছে কর্মসংস্থানের হার ও শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ।
মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের অফিসে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রকাশ করে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে নিযুক্ত ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ২ শতাংশ, যেখানে আগের বছর এটি ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট।
বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘‘অর্থনৈতিক চাপ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হ্রাসের কারণে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’’
শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ হ্রাস পেয়েছে ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে আসে। এই পতনের অন্যতম প্রধান কারণ নারী কর্মীদের বাজার থেকে সরে যাওয়া।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই সময়ে অতিরিক্ত ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এ প্রবণতা নারীদের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
এছাড়া, মোট কর্মসংস্থানের পরিমাণেও বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। গত এক বছরে দেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ কমেছে। ফলে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ বা ৬৯.১ মিলিয়নে।
এর ফলে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত কমে এসেছে ৫৬.৭ শতাংশে, যা আগের তুলনায় ২.১ শতাংশ পয়েন্ট কম।
বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদন দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান পরিস্থিতি ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নারী শ্রমশক্তিকে পুনরায় সক্রিয় করা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়া এই পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।