এক দিনের জন্য নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৩৮ এম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

এক দিনের জন্য নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের আসনে বসে নজির গড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি গত ১১ অক্টোবর এই প্রতীকী দায়িত্ব পালন করেন।
পঞ্চগড়ে বেড়ে ওঠা সাদিয়া নিজ এলাকায় ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে কাজ করে ইতোমধ্যে শিশু অধিকার ও লিঙ্গ সমতায় সক্রিয় কণ্ঠ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার এই নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের প্রতীকী ভূমিকায়।
গার্লস টেকওভার কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজে নারীদের নেতৃত্ব বিকাশে উৎসাহ দেওয়া এবং প্রচলিত সামাজিক চিন্তাধারাকে চ্যালেঞ্জ জানানো। রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তর, উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক দিনের জন্য নেতৃত্বের আসনে বসানো হয় উদীয়মান তরুণীদের।
এ বছর আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ছিল “The girl I am, the change I lead: Girls on the frontlines of crisis”। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিপাদ্য ছিল “আমি কন্যাশিশু - স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি।” এই থিমগুলোই সামনে এনে দেখানো হয়, সংকটের সময় মেয়েরা কীভাবে সামনে এসে নেতৃত্ব দেয়।
রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন শেষে সাদিয়া বলেন, “এই টেকওভার অভিজ্ঞতা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি চাই, আমার এই যাত্রা অন্য মেয়েদেরও সাহস দিক নিজেদের সক্ষমতায় বিশ্বাস রাখার এবং এমন এক সমাজ গড়ার, যেখানে সমতা বাস্তবে পরিণত হবে।”
বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন সাদিয়ার প্রশংসা করে বলেন, “সাদিয়াকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিতে দেখে আমরা আনন্দিত। তার কাজ প্রমাণ করে, মেয়েরা সুযোগ পেলে সমাজ এগিয়ে যায়। বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী শিক্ষার পক্ষে তার উদ্যোগ অনুপ্রেরণার।”
টেকওভার কার্যক্রম চলাকালে সাদিয়া জাতিসংঘের নারী সংস্থা ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গঠন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেন।