এবার কর বসছে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া অর্থ-সম্পদেও
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৩০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া অর্থ, গয়না বা জমির মতো সম্পদের ওপর এবার থেকে কর বসতে পারে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই কার্যকর হওয়া এই নীতিমালায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দেওয়া উপহার বা দানের বিষয়টি কর বিবেচনায় আসছে।
নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী, বাবা-মা, সন্তান, স্বামী-স্ত্রী এবং ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পদ লেনদেন আগের মতোই করমুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, ভাই যদি বোনকে দুই লাখ টাকা উপহার দেন এবং তা রিটার্নে দেখানো হয়, তাহলে সেই অর্থের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। শুধু নগদ অর্থ নয়, জমি, ফ্ল্যাট কিংবা অন্য যে কোনো ধরনের সম্পদ এই করছাড়ের আওতায় পড়বে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায়ই তাদের আত্মীয়দের; বিশেষ করে ভাই-বোনকে অর্থ পাঠান বা মূল্যবান উপহার দেন। রেমিট্যান্স নিজেই করমুক্ত হলেও এখন থেকে স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, উপহারের ক্ষেত্রেও করমুক্তির শর্তগুলো কী হবে। তাছাড়া, পাঁচ লাখ টাকার বেশি যেকোনো লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে, যা আগেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকা বা শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া সম্পদ এখন করযোগ্য বিবেচিত হবে। এনবিআর স্পষ্টভাবে বলছে, এই ধরনের দান বা উপহার রিটার্নে দেখাতে হবে এবং কর দিতে হবে। উপহারদাতাকেও তাদের নিজস্ব রিটার্নে এই বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
কর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “অনেক সময় দেখা যায়, শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া সম্পদ ‘উপহার’ হিসেবে দেখানো হলেও, উপহারদাতা সেই তথ্য রিটার্নে দেখান না। এ ধরনের লেনদেন অনেক সময় অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার প্রচেষ্টা হিসেবেও গণ্য হতে পারে।”
নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে কর প্রশাসন স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করেছে, আত্মীয়দের মধ্যে কোন ধরনের উপহার করমুক্ত থাকবে এবং কোনগুলো হবে করযোগ্য। এতে কর ফাঁকি বা অনিয়ম ঠেকাতে প্রশাসনিক নজরদারি আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।