বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো


বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো

বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমানকে। রোববার বিকেল ৫টার ফ্লাইটে নামিবিয়ায় একটি অফিসিয়াল কর্মসূচিতে অংশ নিতে তার যাওয়ার কথা ছিল। ওই সফরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও ১০ কর্মকর্তা আমন্ত্রিত ছিলেন। বাকি সবাই যাত্রা করতে পারলেও হাবিবুর রহমানকে শেষ মুহূর্তে থামিয়ে দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন হাবিবুর রহমান। এ সময় তাকে ডেকে নিয়ে জানানো হয়, “তাকে ফ্লাই করতে না দেওয়ার জন্য সরকারের দিক থেকে ম্যাসেজ আছে। আজকের জন্য তারা দুঃখিত।”

প্রসঙ্গত, হাবিবুর রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় থেকে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং ২৬টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও পরিচালকদের তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই তালিকার কারণেই তাকে সফরে যেতে দেওয়া হয়নি।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও খুরশীদ আলম, বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস এবং নীতি উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের। তবে বিগত সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহার এখনও পদে বহাল আছেন।

ড. হাবিবুর রহমান ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড বৃত্তির আওতায় ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায়োগিক অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×