শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে: বিজিএমইএর পরিচালক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:১০ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রপ্তানি খাতে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। তাদের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রোববার, ১৯ অক্টোবর দুপুরে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আগুনে যে পরিমাণ পণ্য নষ্ট হয়েছে, তা শুধু বর্তমান রপ্তানির ক্ষতি নয়, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সুযোগও ব্যাহত করবে।”
ইনামুল হক খান জানান, সাধারণত উচ্চমূল্যের পণ্য এবং জরুরি চালানগুলো আকাশপথে পাঠানো হয়ে থাকে। অগ্নিকাণ্ডে তৈরি পোশাক, দামী কাঁচামাল ও সম্ভাব্য ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল পণ্য সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণে বিজিএমইএ এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে এবং দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন পোর্টালও চালু করা হয়েছে।
প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানার পণ্য বিমানে রপ্তানি হয় উল্লেখ করে ইনামুল হক বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ বিশাল হতে পারে। তিনি জানান, সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে শিগগিরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা আয়োজন করবে বিজিএমইএ।
পরিদর্শনে অংশ নেওয়া বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা ভেতরে গিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখেছি। পুরো ইমপোর্ট সেকশন পুড়ে গেছে। আমাদের অনুমান, ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) টাকার বেশি হতে পারে।”
তিনি জানান, ঘটনাস্থলে বাণিজ্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আপাতত টার্মিনাল-৩-এ বিকল্প জায়গায় আমদানি পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে এবং ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফয়সাল সামাদ আরও বলেন, “কাস্টমসের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ওয়ার্কিং কমিটি করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত মালামাল খালাস করা যায়। এমনকি শুক্র-শনিবারও কাজ চলবে। ব্যবসার স্বার্থে এখন আর সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না।”