ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৭.৯% বেড়েছে
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৩২ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৫

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইউরোস্ট্যাটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই ছয় মাসে বাংলাদেশ ইইউতে ১০.২৯ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৮.৭৩ বিলিয়ন ইউরো থেকে ১৭.৯ শতাংশ বেশি।
এই সময়ে ইইউর মোট পোশাক আমদানি ১২.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩.৩৯ বিলিয়ন ইউরো, যেখানে আগের বছর এই পরিমাণ ছিল ৩৮.৬৪ বিলিয়ন ইউরো। ফলে ইইউ বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
তবে, চীন এবং কম্বোডিয়া বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এগিয়ে রয়েছে। চীন ইইউতে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে, যার রপ্তানি ২২.৩ শতাংশ বেড়ে ১১.২৬ বিলিয়ন ইউরো হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে—৩০.৪ শতাংশ বেড়ে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.০৭ বিলিয়ন ইউরো।
বাংলাদেশ তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ভালো প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ভারতের রপ্তানি ১৫.৪ শতাংশ বেড়ে ২.৭০ বিলিয়ন ইউরো হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ২.৩৪ বিলিয়ন ইউরো। পাকিস্তান ১৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৮৬ বিলিয়ন ইউরো রপ্তানি করেছে, যা ২০২৪ সালের ১.৫৯ বিলিয়ন ইউরো থেকে বেড়েছে। ভিয়েতনামও ১৭.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২.০২ বিলিয়ন ইউরো রপ্তানি করেছে, যা আগের বছর ছিল ১.৭৩ বিলিয়ন ইউরো।
তবে, তুরস্কের রপ্তানি ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪.২৭ বিলিয়ন ইউরোতে নেমে এসেছে, যা ইইউতে পোশাকের চাহিদা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।
সার্বিকভাবে দেখা যায়, ইইউতে বাংলাদেশের ১৭.৯ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি এবং ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের চেয়ে শক্তিশালী। তবে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও কম্বোডিয়ার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, যা ইইউ বাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।