বাংলাদেশ আইএমএফের ষষ্ঠ কিস্তি পাবে নির্বাচনের পর


বাংলাদেশ আইএমএফের ষষ্ঠ কিস্তি পাবে নির্বাচনের পর

চলতি বছরের শেষ নাগাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ পাচ্ছে না। কারণ, সংস্থাটি চলমান সংস্কার কর্মসূচির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে চায় নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করে। ফলে কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি ২০২৬ সালের শুরুর দিকে গড়াচ্ছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে থাকা বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, "পরের কিস্তি মার্চ বা এপ্রিলে আসতে পারে। তবে, এটা বাংলাদেশের জন্য কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, বরং ভালোই হবে।"

তিনি জানান, ষষ্ঠ কিস্তি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে এবং আইএমএফ এই কিস্তি সপ্তম কিস্তির সঙ্গে একত্রে ছাড়ের পরিকল্পনা করছে। এতে মোট অর্থের পরিমাণ হবে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার। এর আগে তৃতীয় কিস্তির পূর্বশর্ত পূরণে দেরি হওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি একত্রে ছেড়েছিল।

ড. সালেহউদ্দিন জানান, রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা বাদে অন্যান্য সব শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ। তবে, ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে মূলত দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক নিশ্চয়তা চাওয়ার কারণে। তারা নিশ্চিত হতে চায়, বর্তমান সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলো নতুন প্রশাসন বাতিল করবে না।

তিনি বলেন, "পরবর্তীতে যে সরকারই আসুক না কেন, এই সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।"

আগামী ২৯ অক্টোবর আইএমএফের একটি টিম ঢাকায় আসবে এবং দুই সপ্তাহ ধরে পর্যালোচনা কার্যক্রম চালাবে। তারা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলো মূল্যায়ন করে কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেবে।

অর্থ উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন, কিস্তি ছাড়ে বিলম্ব হলেও এতে দেশের অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য এখনো শক্ত ভিত্তিতে রয়েছে।

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করেছে বলেও জানান ড. সালেহউদ্দিন।

প্রসঙ্গত, আইএমএফ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। চলতি বছরের জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের সময় ঋণের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয় এবং অতিরিক্ত ৮০০ মিলিয়ন ডলার যুক্ত করা হয়। ফলে ঋণের মোট পরিমাণ এখন দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×