ডিএসইতে লেনদেন ছাড়ালো হাজার কোটি টাকা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৪১ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে প্রথমবারের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে লেনদেনের পাশাপাশি সূচকেরও উল্লেখযোগ্য উত্থান লক্ষ্য করা গেছে, যদিও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারমূল্য দিনের শেষে কমে গেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অবশ্য পরিস্থিতি ছিল কিছুটা ভিন্ন। এখানে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে এবং সূচকেরও উল্লম্ফন দেখা গেছে, যদিও লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
বাজারের লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। এর ফলে সূচকও শুরুতেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে দাম পতন দেখা গেলেও ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দিনশেষে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এতে দিন শেষে সূচকের বড় উত্থান বজায় থাকে।
সেশনের শেষে ডিএসইতে ১৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, বিপরীতে ১৬৭টির দাম কমেছে এবং ৭৭টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিশেষভাবে ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া ১০১টি কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে, ৮২টির দাম কমেছে এবং ৩৪টির স্থির ছিল।
লভ্যাংশ ১০ শতাংশের কম দেওয়া ২১টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়েছে, আর ৪৭টির কমেছে। ১৪টির মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মধ্যে, যেগুলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না, সেখানেও মিশ্র চিত্র দেখা গেছে—২৮টির দাম বেড়েছে, ৩৮টির কমেছে এবং ২৯টির অপরিবর্তিত ছিল।
মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত ৩৬টির মধ্যে ১১টির দর বেড়েছে, ৬টির কমেছে এবং ১৯টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দিন শেষে ৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৪৪৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১,১৭০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮ পয়েন্ট বাড়িয়ে পৌঁছেছে ২,১১৪ পয়েন্টে।
লেনদেনের দিক দিয়েও ছিল উল্লেখযোগ্য উত্থান। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১,০৬৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের ৭৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার তুলনায় ৩২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম ডিএসইতে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
দিনটির সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিটি ব্যাংকের শেয়ারে—৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক (৪০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা) এবং তৃতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা)।
লেনদেনের শীর্ষ দশে আরও ছিল: ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, যমুনা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।
চট্টগ্রামের সিএসই বাজারে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৮১ পয়েন্ট। এখানে ২২৯টি কোম্পানির মধ্যে ১০৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৮৭টির কমেছে এবং ৩৫টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ২৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার তুলনায় কম।