চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানালেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা


চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানালেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে গড়ে ৩০ শতাংশ ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এটি ১৯৮৬ সালের পর বন্দর ট্যারিফে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের সংশোধন।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তার ভাষায়, ‘১৯৮৬ সালের পর এবারই প্রথম ট্যারিফ বাড়ানো হয়। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে, তবে আমদানি-রপ্তানিতে খরচ বাড়বে ব্যবসায়ীদের।’

উপদেষ্টা আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বিদেশি অপারেটরের মাধ্যমে বন্দর পরিচালনার চিন্তা রয়েছে। তবে এ নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়াতে চায়। এ বন্দরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে হলে বিদেশি অপারেটরকে পরিচালনার ভার দিতে হবে। এ নিয়ে প্রোপাগান্ডা না ছড়াতে সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি।’

তবে বিদেশি অপারেটরের অংশগ্রহণ থাকলেও বন্দরের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে বলে স্পষ্ট করে দেন উপদেষ্টা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের হাতে বন্দরের পরিচালনা দেওয়া হবে, বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। গত ৭ জুলাই সাইপ পাওয়ার টেক থেকে নিয়ে বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়।’

এই পরিবর্তনের পর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে পণ্য হ্যান্ডেলিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩,২০০ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে, যা আগের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি।

এই ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে বন্দর আয় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা কিছুটা অতিরিক্ত ব্যয়ের মুখে পড়তে পারেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×