খেলাপি ঋণ ছাড়াল তিন লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:২০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ তিন লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। আর ছয় মাসে বেড়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে যে অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে, নিয়মনীতি সঠিক পরিপালনের কারণে এখন তা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। ফলে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশ বর্তমানে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে মোট ঋণের স্থিতি ১৭ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশ।’
২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা হয়, যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতাসীন হয় তখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। দ্বিতীয়বার ক্ষমতা নেওয়ার সময়ও খেলাপি ঋণ ছিল ৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ বেড়ে ৫১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা হয়।
এছাড়াও তৃতীয় দফায় ক্ষমতা নেওয়ার সময় ২০১৮ সালের শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। গত বছর জুনে খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ওই সময় মোট বিতরণকৃত ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ খেলাপি ছিল। গত বছর মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতে প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ। প্রতি বছরই তিন মাস অন্তর অন্তর অর্থাৎ বছরে চারবার খেলাপি ঋণের হালনাগাদ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪ সালে ডিসেম্বর প্রান্তিকের খেলাপি ঋণ আজকে ঘোষণা করা হলো।