জুলাই আন্দোলনে হত্যা
সাবেক তিন মন্ত্রীসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৩৬ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যা মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে ২৩১ জনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট গ্রহণের আদেশ দেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
৩০ জুলাই চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফয়সাল তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে এটি প্রথম অভিযোগপত্র।
২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় অস্ত্রসহ গুলি চালানো হয় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে। এর আগে নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশ শেষে মিছিল শহরের ষোলশহর এলাকায় গেলে, সেখানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বহদ্দারহাট মোড়ের কাছে সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায়ও হামলা হয়।
এসময় গুলিবিদ্ধ হন অটোরিকশাচালক শহিদুল ইসলাম শহিদ। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শহিদের ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন, নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন ও নুরুল আজিম রনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় ১২৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৮ জন সাধারণ নাগরিক, ৯৯ জন পুলিশ সদস্য এবং একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তদন্ত শেষে এসআই মো. ফয়সাল চার্জশিট দাখিল করেন।