শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৩১ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করতে যান। মামলাটি বর্তমানে বিচার কার্যক্রমের প্রায় শেষ ধাপে রয়েছে।
নাহিদ ইসলাম এর আগে জানিয়েছেন, দুই দিনের মধ্যেই তার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে। মূলত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও, একই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর জেরা শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
বুধবার ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি ও দুই দিনব্যাপী জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর প্রসিকিউশন জানায়, এখনই নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়েই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অধ্যায় সমাপ্ত হবে।”
মামলায় বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশজুড়ে সংগঠিত আন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকারি নির্দেশে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হন। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা এই হত্যাযজ্ঞের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং এনএসআই কর্মকর্তাদের দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং এনএসআইয়ের উপপরিচালক মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে।
মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ রয়েছে দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায়। মামলায় মোট ৮১ জনকে সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা মামলার প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে জমা দেয়।