২৭তম বিসিএস বঞ্চিত ১১৩৭ জনের নিয়োগ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ আপিল বিভাগের
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:০৯ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৫

১৭ বছর আগে অনুষ্ঠিত ২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় চাকরিতে বঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনকে দ্রুত নিয়োগ দিতে আপিল বিভাগ সরকারের কাছে নির্দেশনা জারি করেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে বঞ্চিতদের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
রায়ের সময় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আদালতে আইনজীবীরা জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালত আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে ৯০ দিনের মধ্যে বঞ্চিতদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ প্রথমবারের মতো ২৭তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে। তবে পরে দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষার বিষয়ে হাইকের দুটি বিপরীত রায় হয়। এক বেঞ্চ দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ বললেও অন্য বেঞ্চ বৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পৃথক লিভ টু আপিল করে এবং আপিল বিভাগ ২০১০ সালে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বৈধতা নিশ্চিত করে।
আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন জানান, ২৮ বছর আগে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কোনো আইনগত ক্ষমতা ছিল না, যা পিএসসি আইন ও বিধিতেও নেই।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। কিন্তু ওই বছরের ৩০ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১ জুলাই পিএসসি ফল বাতিল করে এবং ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৩২২৯ জন উত্তীর্ণ হন এবং চাকরিতে নিয়োগ পান।
এই দীর্ঘ মামলা মোকদ্দমার পটভূমিতে গত বছর ৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের রায়ে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের পক্ষে গৃহীত পদক্ষেপগুলি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কিছু আবেদনকারীর পুনর্বিবেচনার আবেদন থাকলেও তা অবজ্ঞা করে আপিল বিভাগ ২০২৩ সালে পুনরায় আদেশ দেন।
এখন সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা এসেছে, যা বঞ্চিতদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে যাচ্ছে।