উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাৎ: কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা


উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাৎ: কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

এই আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারা হলেন— বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক ভিসি এ কে এম নূর-উন-নবী,

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম হাবিবুর রহমান।

এর আগে, ১৮ জুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের সঙ্গে মিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি সম্পাদন করেন।

এছাড়া, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কাটা নিরাপত্তা জামানতের টাকা এফডিআর আকারে ব্যাংকে জমা রেখে, সেই অর্থ লোন দিতে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদান করেন এবং গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, অগ্রিম বিল প্রদানের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হয় এবং সেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলোও আগেই অবমুক্ত করা হয়।

এ ছাড়া, প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন উপেক্ষা করে সরকারি ক্রয়বিধির বাইরে গিয়ে দ্বিতীয় পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া, অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ অনুসারে দরপত্র মূল্যায়ন না করা—এমন একাধিক গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×