আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও এআই দিয়ে বানানো: হাসিনার আইনজীবী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৫২ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২৫

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৭ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ এই সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যবর্তী সময়ে কিছুটা বিরতি দেওয়া হয়।
সাক্ষ্য দেন দুজন প্রত্যক্ষদর্শী—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিনা মুরমু এবং এনটিভির রংপুর প্রতিনিধি একেএম মঈনুল হক। তারা ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। পরে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাদের জেরা করেন।
সাংবাদিক মঈনুল হককে জেরার সময় আইনজীবী আমির হোসেন দাবি করেন, আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও ফুটেজটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। জবাবে সাক্ষী বলেন, “এটি সত্য নয়।”
এই মামলায় এ পর্যন্ত মোট পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে, ৪ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন আদালতে সাক্ষ্য দেন। তারা শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
৩ আগস্ট মামলার সূচনা বক্তব্যের পর আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ প্রথম সাক্ষ্য দেন। তাকেও জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন।
এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ট্রাইব্যুনাল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে গ্রহণ করেছে, শর্ত হলো—তিনি সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের জন্য ৩ আগস্ট এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যও তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।