ফের পালানোর চেষ্টা টঙ্গীর মুফতি মুহিব্বুল্লাহ’র, ভিডিও ভাইরাল
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৩৪ এম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী আবারও বাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করেছেন। সম্প্রতি তার পালানোর সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী দৌড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় পেছনে থাকা এক ব্যক্তি তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা জড়ো হন এবং শেষ পর্যন্ত মুফতি মুহিব্বুল্লাহকে আটকাতে সক্ষম হন তারা।
এর আগে আলোচিত অপহরণ নাটকের ঘটনায় নিজেই পঞ্চগড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। ওই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে মুফতি মুহিব্বুল্লাহ বলেন, “আমি হাঁটতে গেছি। হাঁটতে যাওয়ার পরে আমার মাথায় আসলো যে আমি চলতে থাকি, যাই। কোন দিকে যাই, বলতে পারি না। একপর্যায়ে আমি অটো পাইছি, অটোতে উঠছি, মীরের বাজার নামছি। নামার পরে মনে চাইল যে আমি জয়দেবপুর যাই। সিএনজি দিয়ে জয়দেবপুর গেছি। এরপরে আমার মাথায় আসলো যে আমি এখন এই বাসে উঠি। বাসে উঠে শ্যামলী না কোন যায়গায় যেন নামাইছে। এইখান থেকে আমি আরেকটা বাসে উঠে গাবতলী গেছি। ওইখান থেকে আমি মনে চাইল যে আমি টিকিট করি। কই যাব, খেয়াল হইল যে আমি পঞ্চগড় যাই। অনেক রাতে পঞ্চগড় নামছি। নামার পরে হাঁটতেছিলাম, কোন দিকে হাঁটতেছি আমি জানি না চিনি না, হাঁটতেছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “একপর্যায়ে আমি দেখি যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ লাইনস এগুলো হেঁটে পার হয়ে গেছি। পার হয়ে গিয়ে আমি একটা শিকল কুড়িয়ে পাইলাম। ওইটা নিয়ে আমি এক যায়গায় প্রস্রাব করতে বসলাম।
প্রস্রাব করলাম আর পায়জামায় প্রস্রাব লাগল, এর পরে জামায়ও লাগল। জামা খুইলা ফালাইলাম, পায়জামাও খুললাম। কিন্তু খোলার পরে আবার পরতে হবে এই জিনিসটা আমি আর পারি নাই ঠাণ্ডায়। ঠাণ্ডায় ওইখানে শুইয়া পড়লাম আর পায়ে শিকল দিলাম। এইটা কেন করতেছি এইটার কোনো চিন্তাভাবনা আমার নাই, খালি যা মাথায় আসতেছে তা করতেছি।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর পঞ্চগড় সদর থানার হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে একটি গাছের সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় অচেতনভাবে পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬০ বছর বয়সী এই খতিবের সেই ঘটনাই এর আগে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।