শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে গণপিটুনি


শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে গণপিটুনি

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসার এক শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চালায় পুলিশ। পরে পুলিশের ওপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। 

আটক মোহাম্মদ মহসিন (৩৫) নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কাচুটিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার দারুল হিকমা হাফিজিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষক মহসিনের বিরুদ্ধে এক শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তাকে গণপিটুনি দেন মাদ্রাসার আশপাশের বাসিন্দারা। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক দৌড়ে মাওনা চৌরাস্তা এলাকার জেলা পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেয়। কিন্তু মুহূর্তেই কয়েকশ মানুষ পুলিশ বক্সের সামনে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টার পর স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় নেয় পুলিশ।

শ্রীপুর থানার ওসি মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ফোর্স পাঠানো হয়। পরে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে পড়লে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে ধাওয়া দিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×