পুলিশ সদস্যের হাত কামড়ে আসামিকে নিয়ে গেল আওয়ামী লীগ কর্মীরা


পুলিশ সদস্যের হাত কামড়ে আসামিকে নিয়ে গেল আওয়ামী লীগ কর্মীরা

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ও ‘জুলাই সনদ’ বাতিলের দাবিতে পোস্টার লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ অভিযান চালানোর সময় হামলা হওয়ার পাশাপাশি আটক একজন নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ‘জুলাই সনদ বাতিল’ সম্পর্কিত পোস্টার টানানো ও চর সাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামে গোপন বৈঠক হওয়ার তথ্য পাওয়ায় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন করির ছক্কুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ হুমায়ুন করির ছক্কুকে আটক করে, কিন্তু পরে দলীয় কর্মীরা মব সৃষ্টি করে পুলিশের হাত থেকে ছক্কুকে ছিনিয়ে নেয়।

এই সংঘর্ষে এসআই গোলাম মোস্তফা, এএসআই আহসান হাবিব, এএসআই জয়ন্ত, কনেস্টেবল ইয়াছিনসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পরে পুলিশ ২০ জনকে নাম উল্লেখসহ এবং অজ্ঞাত ৩০০–৪০০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর উত্তর চর সাজাই মন্ডলপাড়া এলাকার রহিম আহম্মেদ (২৫) ও ইয়াকুব আলি (২৫) গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

রাজিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, “সরকার উৎখাতের পরিকল্পনায় গোপন বৈঠক হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করেই নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আমরা হুমায়ুন করিরকে আটক করি, পরে তারা মব সৃষ্টি করে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”

ওসি আরও বলেন, “হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে রাজিবপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলা দায়েরের পর এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×