পিআরসহ ৫ দাবিতে লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:৪৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন দাবিতে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকা থেকে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশের পর বিক্ষোভ-মিছিল বের করে। কর্মসূচিতে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌর জামায়াতের আয়োজনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল ও লক্ষ্মীপুর সদর-৩ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। পৌর শহরের আশপাশের এলাকা থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। তাঁদের হাতে ছিল ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগান লেখা ফেস্টুন।
এ সময় “এই মুহূর্তে দরকার পিআর আর সংস্কার”, “পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, দিতে হবে দিয়ে দাও”, “জামায়াত-শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা” - এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিল শেষে সমাবেশে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “প্রতিটি ভোটের মূল্যায়নে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভোটের কোনো বিকল্প নেই। দেশের মানুষ এমন একটি নির্বাচন চায়, যাতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ জন্যই প্রয়োজন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের আর এ দেশে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। প্রশাসনের মধ্যে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা ঘাপটি মেরে আছে। তাদের সরিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় পার্টিসহ যেসব দল ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। তাদের বিচার করতে হবে।”
সমাবেশে লক্ষ্মীপুর পৌর জামায়াতের আমীর এডভোকেট আবুল ফারাহ নিশানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দীন মাহমুদ, এডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যা পাটোয়ারী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।