মনমালিন্যের পর বাবার মৃত্যু, নিজেকে দায়ী ভেবে ছেলের আত্মহত্যা
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:১৯ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাবার মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক ছেলে। এ ঘটনায় বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের উদয় নাতুড়িয়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বিজয়ের নাম বিজয় কুমার বিশ্বাস (৩২) এবং তার বাবার নাম শম্ভু চরণ বিশ্বাস (৭২)। বিজয় উদয় নাতুড়িয়া গ্রামের শম্ভু চরণ বিশ্বাসের ছেলে এবং পেশায় তিনি জেলে ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয় কুমার বিশ্বাসের বাবা শম্ভু চরণ বিশ্বাস পূজা উপলক্ষে বাড়ির একটি পোষা ছাগল স্থানীয় বাঁশগ্রাম বাজারে বিক্রি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজয় তার বাবার কাছে ছাগল বিক্রির অর্ধেক টাকার ভাগ চান। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাপ-ছেলের মধ্যে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে বাবা শম্ভু চরণ উত্তেজিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির পেছনে বাদাম গাছের ডালের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে বিজয় আত্মহত্যা করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, "ছাগল বিক্রির টাকা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল। প্রথমে বাবা স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তার ছেলে আত্মহত্যা করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।"