মসজিদ নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৩০
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৪৫ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৫

পাবনার বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষের সময় একটি মসজিদে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে এ সহিংসতার সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারাপুর গ্রামে আগে থেকেই একটি পুরনো মসজিদ ছিল। তবে কয়েক বছর আগে ওই মসজিদে নামাজের পর মিলাদ মাহফিলে ‘কিয়াম’ পড়া নিয়ে মতবিরোধের জেরে তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মতিন হাজী নিজ উদ্যোগে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এই নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে পুরোনো মসজিদ ঘরানার অনুসারীরা এর বিরোধিতা করেন।
বিরোধ চরমে পৌঁছায় যখন বারান্দা নির্মাণের সময় একটি পক্ষ বাধা দেয়। এর জেরে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও হাসুয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের বহু মানুষ আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে মসজিদেও হামলা ও ভাঙচুর হয়।
আহতদের মধ্যে অনেককে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বগুড়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা সুলতানা নীলা বলেন, “আমাদের হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে দুইজন ভর্তি রয়েছেন। পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।”
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারাপুর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বেড়া থানার ওসি ওলিউর রহমান বলেন, “কিয়াম পড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। আজ সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”