কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু, আটক ১
- কক্সবাজার প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৫৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারে জামায়াত নেতার নেতৃত্বে হামলায় আহত ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাই ও সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার।
নিহত রহিম সিকদার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। গত রবিবার পানিরছরা এলাকায় হামলা আহত হয়েছিলেন। এ ঘটনায় আহত আরও দুই জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রামের একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই শফিকুর রহমান সিকদার।
তিনি জানান, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের একজন প্রবাসীর জায়গা ৫ আগস্টের পর থেকে কক্সবাজার লাইট হাউস ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমানের নেতৃত্বে দখলের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় প্রবাসী পরিবার কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে পুলিশের এসআই তদন্তে গেলে তার অনুরোধে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং সাবেক চেয়ারম্যান উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে সমস্যার সমাধান করে দেন। এ সময় নোমানরা জায়গায় আর না যাবে না মর্মে পুলিশকে মুচলেখাও দেয়।
এ ঘটনার জের ধরে শফিকুর রহমান সিকদার ও তার পরিবারের উপর নোমান ক্ষিপ্ত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত রবিবার আমার চাচাত ভাই জাহেদ সিকদারকে পানির ছরা যাওয়ার পথে নোমানের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে মারধর করে। খবর পেয়ে আমার ভাইপো ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব সিকদার, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রহিম সিকদার, শাহিন সিকদার ও জসিম সিকদার ঘটনাস্থলে যান। ওখানে তাদের উপর হামলা করা হয়।
এ সময় রহিম, সাকিবকে মাথায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। শাহিনের হাতে দা দিয়ে কুপিয়ে এবং জসিম সিকদারকে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাকিব, রহিম, শাহিনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়। সেখানে রহিম ও সাকিবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। শাহিনের হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় রহিম মারা যায় এবং সাকিব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ, স্থানীয় ফাতের ঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমান, জামাই মিজান, মুজিব, এনামরা হামলা চালিয়েছিল।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এরপরও পুলিশ জড়িতের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মিজানকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনা নিয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের বা অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।