ভোলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সন্তানের গলায় অস্ত্র ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:০২ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৫

ভোলা সদর উপজেলার একটি গ্রামে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় গৃহবধূর চিৎকার করলে তার সন্তানের গলায় দা ধরে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান ভোলা সদর মডেল থানার ওসি হাসনাইন পারভেজ।
ওই গৃহবধূ বলেন, তার স্বামী জীবিকার তাগিদে মাছ ধরতে সাগরে ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
“মধ্যরাতে সিঁধ কেটে প্রতিবেশী মো. কামাল মাঝি ও তার এক সহযোগী ঘরে ঢোকে। প্রথমে তারা আমার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এ সময় ডাক-চিৎকার করলে বাচ্চাদের গলায় দা ধরে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন কামাল।
“ধর্ষণ শেষে ভিডিও করে, কামালকে তিনি ডেকে এনেছেন, এমন কথা বলতে বাধ্য করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের কথা কাউকে বললে ভিডিও ভাইরাল করে দেবে এবং সন্তানদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন কামাল।”
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “কামালের সঙ্গে আরও লোক ছিল, তারা বাহিরে ছিল। তাদের চিনতে পারিনি। পরে চুলের মুঠি ধরে বাহিরে টেনে নিয়ে, আমাকে দিয়ে সিঁধ কাটার স্থানে মাটি ভরাট করে নেয় কামাল।”
এ বিষয়ে জানতে কামাল মাঝির মোবাইলে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তায়েবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসাধীন আছেন। তার সব পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।