চট্টগ্রামে আমদানি নিষিদ্ধ ৬০ হাজার কেজি ঘনচিনি আটক
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:২৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি ঘোষণায় জালিয়াতির মাধ্যমে আনা ৬০ হাজার ৪৮০ কেজি নিষিদ্ধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক সোডিয়াম সাইক্লামেট (ঘনচিনি) আটক করেছে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এইচ পি ইন্টারন্যাশনাল চীন থেকে “সোডা অ্যাশ লাইট” আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। তবে বাস্তবে কনটেইনারে ছিল সোডিয়াম সাইক্লামেট। তিনটি কনটেইনারে করে পণ্যগুলো গত ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং পরে উত্তর কাট্টলী এলাকার গোল্ডেন কনটেইনার ডিপোতে স্থানান্তর করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস কনটেইনারগুলোর খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করে। পরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, ডিপো কর্তৃপক্ষ এবং সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কনটেইনারগুলো খুলে পরীক্ষা করা হয়।
নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি কেন্দ্র, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তিনটি ল্যাবের পরীক্ষায়ই পণ্যটিকে ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির বলেন, “ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। এটি মিষ্টান্ন, বেকারি, জুস, চকলেট ও শিশু খাদ্যে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।”
তিনি আরও জানান, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির কারণে সরকার ঘনচিনি আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। আটক চালানের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা, যার ওপর প্রযোজ্য শুল্ক-কর ৬১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
কাস্টমস হাউস জানিয়েছে, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।