মিসরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক


মিসরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিসরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাসাদ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জেরুজালেমে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই পক্ষ আঞ্চলিক নিরাপত্তা, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।

নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ইসরায়েল-মিসর সম্পর্ক জোরদার এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার কারণে তা টালমাটাল হয়ে পড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েল সফর করেন মিসরের গোয়েন্দা প্রধান।

একই দিনে ইসরায়েলে পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তার আগে দেশটিতে গেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জেরেড কুশনার।

গত রোববার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত দখলদার বাহিনীর হামলায় আরও ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

রোববার রাতেই আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তবে এর স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রাখা এবং গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্স, উইটকফ ও কুশনারকে।

এই দ্বিতীয় ধাপে গাজা উপত্যকায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন—ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে সরে এসে আবারও হামাসের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করতে পারেন।

সূত্র: বিবিসি, টাইমস অব ইসরায়েল

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×