পাবনায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:১৯ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৫

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনার সুজানগরে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ রউফ শেখসহ (৪৫) সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়াও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
স্থানীয়রা জানান, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁর অনুসারী আশিক মোবাইল ফোনে মঙ্গলবার কথা বলছিলেন। তখন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফের ভাতিজা ও তার অনুসারীরা আশিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। মঙ্গলবারই উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। আজ দুপুরে কাউসার নামে এক বিএনপি নেতা আশিককে আবার ডেকে পাঠান। তখন আশিক তার চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতা সবুজকে ডেকে নিয়ে কাউসারের কাছে যান। এ সময় সুজানগর পৌর সিনেমা হলের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সবুজকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে খবর পেয়ে মজিবর খাঁ গ্রুপের নেতারা এসে কাউসারদের ওপরে হামলা চালান। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর খাঁ ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি শেখ রউফ গ্রুপের প্রধান কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে পাবনা-২ (সুজানগর) এর পরিবর্তে পাবনা-৩ (চাটমোহর) আসনে নির্বাচন করার নির্দেশ দেয় বিএনপির হাইকমান্ড। এর পর থেকে তুহিন গ্রুপ ওই এলাকায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ সব নিয়ে মজিবর খাঁর লোকজন তুহিন গ্রুপের লোকজনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছিল বলে অভিযোগ করা হয়। এরই জেরে আজ বুধবার দুপুরে সুজানগর পৌর বাজার এলাকায় দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ রউফ শেখসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তাতীবন্দ গ্রামের শেখ আব্দুর রউফ (৪৫), ইয়াকুব (৩৩), তুষার (৪০), সুজন (৪৫) আসলাম (৩৬), মনজেলকে (৪৫) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মাদ মাসুম বগা বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যার এমন কাজে লিপ্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।
সুজানগর থানার ওসি মো. মুজবির রহমান বলেন, বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাতজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।