তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে মাছ শিকার, বিপন্ন নদীর জীববৈচিত্র্য


ihur88h378.jpg

ভোলা জেলার তেঁতুলিয়া নদীতে প্রতিদিন অবৈধ বাঁধ ও নিষিদ্ধ জাল ফেলে নির্বিঘ্নে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী শিকার করছে প্রায় ১৫০-২০০ জন জেলে। মশারি জাল, চরঘেরা ও বেহুন্দি জালের মতো নিষিদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করে এসব মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নদীর জীববৈচিত্র্য যেমন হুমকির মুখে পড়েছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃত জেলেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া নদীটি মেঘনা নদীর একটি শাখা, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩১ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ৪ কিলোমিটার। নদীটি ভোলা সদরসহ ১০টির বেশি এলাকায় বিস্তৃত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের ফলে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা, ডিম ও রেণু ধ্বংস হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ওই জেলেরা হলো, গজারিয়া খালগোড়ায় আওলাদ মাঝি, জামাল মাঝি, কামাল মাঝি, মিলন মাঝি, জালাল মাঝি, আল ইসলাম মাঝি, পাঙ্গাশিয়া ও ঘোষেরহাট এলাকার আলাউদ্দিন মাঝি, লিটন মাঝি ও হারুন মাঝি, কামাল মাঝি, রহিম মাঝি, বাহাদুর মাঝি, ইলিয়াস মাঝি, জাকির মাঝি, মন্নান মাঝি, শামসু মাঝি, জান্টু মাঝি, সাদ্দাম মাঝি, নজরুল মাঝি, জামাল মাঝি, স্বপন মাঝি, মিলন মাঝি, দুলাল মাঝি, আকবর মাঝি, গজারিয়ার রফিক, কালু, জাকিরসহ পুরো তেঁতুলিয়ায় প্রায় ১৫০-২০০ জন। 

তেঁতুলিয়া ছাড়াও ভোলা সদরের কোড়ালিয়া, শান্তিরহাট, চরজহিরুদ্দিন, কলাতলী, ঢালচরসহ বিভিন্ন চর এলাকায়ও অবৈধ জালের বিস্তার ঘটেছে।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাছের অভয়াশ্রম রক্ষায় কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তেঁতুলিয়ার বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, “জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আমরা ৪০টির বেশি বাঁধা জাল ধ্বংস করেছি। তেঁতুলিয়া এলাকার ব্যাপারেও তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, একাধিকবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ এবং জরিমানা করা হয়েছে।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×