ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ‘নিশ্চয়তা’ দিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:০৪ পিএম, ২২ জুন ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। অনেক শিক্ষক তার পরিচিত বলেও দাবি করেন। ‘নিশ্চয়তা’ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে (সম্মানে) ভর্তি করানোর। এ জন্য এক নারীর কাছ থেকে ছেলেকে ভর্তি করানোর কথা বলে নেন দেড় লাখ টাকার বেশি। অবশেষে ধরা পড়েছেন সেই ‘প্রতারক’।
তার নাম জাহিন চৌধুরী (৪১) ওরফে জাবেদ। শনিবার (২১ জুন) রাতে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। আগের দিন শুক্রবার প্রতারণার শিকার ওই নারী মামলা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, গত শুক্রবার মামলা হওয়ার পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে প্রতারণা মামলায় আসামি জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাদীর সঙ্গে আসামির পরিচয় হয় গত ২৮ মে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও নিজেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিচয় দেন। সেখানে তার অনেক পরিচিত শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষী থাকায় যেকোনোভাবে বাদীর ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দিতে পারবেন বলে নিশ্চয়তা দেন। বাদীর কাছ থেকে নেন টাকাও।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার জাবেদ নিজেকে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বাদীর ১২ ভরি পুরোনো স্বর্ণালংকারের পরিবর্তে ২২ থেকে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে নেন। কিন্তু আর দেননি। আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের হাজারী গলির একটি জুয়েলার্স থেকে বিক্রির ১২ ভরির মধ্যে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেন।
জুয়েলার্সের মালিক জানান, কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে স্বর্ণগুলো বিক্রি করেছিলেন জাবেদ। ওই ঘটনা ছাড়াও নিজেকে কখনো বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পোশাক কারখানার মালিক, বিসিএস কর্মকর্তা পরিচয় দেন জাবেদ। বিদেশে লোক পাঠানো ও পাসপোর্ট তৈরির কথা বলেও লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন জাবেদ। তার বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে।
ওসি আবদুল করিম বলেন, গ্রেপ্তার জাবেদ পড়াশোনা তেমন করেননি। তার নির্দিষ্ট কোনো পেশাও নেই। কখনো ঢাকা, কখনো চট্টগ্রামে থাকেন। প্রতারণা করাই তার পেশা। আগেও তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
ওসি বলেন, সঠিক পরিচয় না জেনে কারও সঙ্গে কোনো টাকা লেনদেন করা উচিত নয়।