ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:২২ পিএম, ১০ জুন ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় জমি থেকে শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম জানান।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে সুহেলের জমি থেকে হৃদয় মিয়া শসা চুরি করে বলে অভিযোগ করা হয়। হৃদয়কে আটকে রেখে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় সুহেলের পরিবার। এরপর হৃদয়ের পক্ষের লোকজন সুহেলের লোকদের কাছে ‘হাত ধরে ক্ষমা চায়’।
কিন্তু এই ‘হাত ধরে ক্ষমা’ চাওয়াকে অবমাননা বলে মন্তব্য করেন হৃদয়ের পক্ষের মাতব্বর মীর্জা আলী। তিনি বিষয়টি ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেন।
উভয় পক্ষের লোকজন সোমবার রাতেই গোষ্ঠীর মাতব্বরদের নিয়ে কয়েক দফা সভা করেন। পরে সকাল থেকেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষে সুহেল মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন- জুয়েল মিয়া, সুহেল মিয়া, লুদন মিয়া, জসিম মিয়া, কাউছার মিয়া, আরমান মিয়া, সালমান মিয়া, সালাম মিয়া, তুহিন বেগম, জুনাইদ মিয়া, ফকির চান বেগম, ফারুক মিয়া, সবুজ মিয়া, মুন্না মিয়া, ইমরান হোসাইন, সফর আলী, জিহাদ মিয়া, পিন্টু মিয়া, জাফর মিয়া, সুলেমান মিয়া ও সজিব মিয়া।
অন্যদিকে হৃদয় মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন- তোতা মিয়া, সরাজ মিয়া, জালাল মিয়া, ফুলজাহান বেগম, রাব্বি মিয়া, সাদেক মিয়া, সেলিম মিয়া, রজব আলী, কাউছার মিয়া, আলম মিয়া, আমীর আলী, ডালিম মিয়া, সেলিম মিয়া, রজব আলী, কাউছার আলী, আলম আলী, আমির আলী, ডালিম মিয়া, শামীমা আক্তার, ইনন মিয়া, ছফিল উদ্দিন, উত্তম মিয়া, আক্তার মিয়া, আজাদ মিয়া, নুরল হক, এনামুল হক, এনাব আলী, দুলাল মিয়া, জিলু মিয়া, সোরাব আলী, উজ্জ্বল মিয়া, মুরসালিন সরকার, রাজ্জাক সরকার, সুমন সরকার, হাফিজ মিয়া, এমরান আলী, নাবিন আলী, ফজু মিয়া, আকিক মিয়া, সাহেদ মিয়া ও নজরুল হক সরকার।
আহতদের একাংশকে হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হৃদয় মিয়ার পক্ষের মীর্জা আলী ও তার ছেলে রাকিবুল হাসান অভিযোগ করেন, শসা চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে তাদের ৪০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সুহেল মিয়ার ছেলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “হৃদয় আমাদের জমি থেকে শসা চুরি করে। তাকে ধরার পর বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু উল্টো তারা আমাদের লোকজনদের ওপর হামলা করে।”
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম বলেন, “স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সমাধানের লক্ষ্যে দুপক্ষকে নিয়ে বসবে বলে জানতে পেরেছি। এলাকা শান্ত রয়েছে।”