চার লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাকে পিটিয়ে জখম


চার লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাকে পিটিয়ে জখম

চাঁদপুরে চাঁদা দিতে না চাওয়ায় এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত মিলন হোসেন বাকিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার (২৭ মে) হাজীগঞ্জের বাকিলার ফকিরবাজার রোডের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এরইমেধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বর্তমানে আহত অবস্থায় মিলন চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বুধবার (২৮ মে) বিকালে মিলনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় দেখা যায়। এর আগে সকালে হাজীগঞ্জ থেকে সদরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিলনকে রেফার করা হলে সদর হাসপাতালের আরএমও আসিবুল আহসান তাকে ভর্তি নিয়ে নেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে আহত মো. মিলন বলেন, আমি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল করি। আমার নেতা তারেক রহমানের কোনো চাঁদাবাজকে আশ্রয় প্রশ্রয় না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি একজন লাইসেন্সকৃত ঠিকাদার। মঙ্গলবার সকালে ফকিরবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের কাজের জন্য বালু ফেলতে গেলে একাধিকবার কারাগারে যাওয়া নাসির হোসেন (৪০) ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

তিনি বলেন, আমি চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে সে আমাদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাকে ভেলচা ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ওই সময় সোহেল, খোকনসহ অন্যরাও মারধর করে। স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছি। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।

মিলনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ইভা জানান, আমার ৩টি ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। আমার স্বামীকে চাঁদা না পেয়ে নাসিরসহ ওই সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলতে চেষ্টা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। একইসঙ্গে আমার স্বামীর যাতে ভবিষ্যতে সুন্দর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত হয় সে দাবি জানাচ্ছি। তার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে এর দায়ও এই সন্ত্রাসীদের নিতে হবে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাসির হোসেনসহ অন্যরা। তারা ব্যস্ততা দেখিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক জানান, মিলন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×