ঘাসের মধ্যে পড়া থাকা কিশোরের ঠাঁই হলো মাদারীপুর হাসপাতালে: মিলছে পরিচয়ও


MARCH NAEEM 2ND/494791875_677552025024000_6593957049989844288_n.jpg

রাস্তার পাশে ঘাসের মধ্যে পড়ে থাকা অজ্ঞাত কিশোরকে উদ্ধার করে মাদারীপুর আড়াই’শ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে তার হাতের ছাপ নিয়ে পরিচয় সনাক্ত করে পরিবারকে খবর দেয়া হয়। অবশেষে অজ্ঞাত কিশোরের পরিবার হাসপাতালে এসে সন্তানকে ফিরে পেয়েছে। কিন্তু অভাবের সংসারে উন্নত চিকিৎসার দাবী এই পরিবারের। শনিবার (৩ মে) সকালে তার পরিবার হাসপাতালে আসেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের আড়িয়াল খাঁ ব্রিজের নিচে একটি ঘাসক্ষেত থেকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। ওই কিশোরের নাম মো. আসাদুল জামান, বসয় ১৮ বছর। তিনি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও মোসা. রাশিদা বেগমের সন্তান। এরা রাজৈর উপজেলার শাফিয়া শরীফে গত ২৬ এপ্রিল ওরশ মাহফিলে আসেন। সেখান থেকে আসাদুল হারিয়ে যায়।

উদ্ধারকারী ও পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আড়িয়াল খাঁ ব্রিজের নিচে এক কিশোরকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহবায়ক নেয়ামত উল্লাহ ও কর্মী আসাদুজ্জামান সাইফ দ্রুতই পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ওই কিশোরকে মাদারীপুর আড়াই’শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ওই কোন পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার হাতের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সনাক্ত করে তার ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়। ঠিকানা মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তার পরিবারকে আসতে বলা হয়। তারা শনিবার সকালে এসে সন্তানকে ফিরে পায়। ওই কিশোরের ছোট থেকেই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় মাঝে মাঝে হারিয়ে যায়। পরিবারটি তার সুচিকিৎসার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেন।

কিশোরের মা রাশিদা বেগম জানান, ‘আমি ও আমার স্বামী কলাপাড়া পৌরসভায় ঝাড়–দারের কাজ করি। ছয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে আসাদুল সবার ছোট। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে অসুস্থ্য, মেঝ ছেলে পড়া লেখা করে। আর ছোট ছেলে ছোট থেকেই মৃৎ রোগে আক্রান্ত। ভালো চিকিৎসা দিতে পারেনি। আমাদের খেয়ে পড়ে বাঁচাই দায়, সেখানে কিভাবে চিকিৎসা করাবো। এখন যদি কেউ আমার ছোট ছেলেটাকে চিকিৎসা করায়, তাহলে আমরা বাঁচতে পারবো।’

এব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলার আহবায়ক নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘ছেলেটার খোঁজ পেয়ে আমিসহ আরো কয়েকজন মিলে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনেছি। এখন আমরা ওর দেখভাল করছি। আগামীতে কিভাবে ওর সুচিকিৎসা পেতে পারে, তার চেষ্টা করছি। কোনভাবেই যেন এমন একটি কিশোরের জীবন শেষ হয়ে না যায়, তার চেষ্টা করবো। আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশেই থাকবো

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×