উখিয়ায় ট্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার তিন


উখিয়ায় ট্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার তিন

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের হাতিরঘোনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন উপজেলার কুতুপালং এলাকার নাজীর হোসেনের ছেলে আবুল ফজল বাবুল (৩৭) ও তার দুই সহোদর মাহমুদুল হক (৩০) ও রায়হান (১৯)।

র‍্যাব-১৫’-এর সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) আ ম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, গত ৬ এপ্রিল উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হয়েছিলেন। পরবর্তী মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন স্থানীয় মসজিদের খতিব ও একই ওয়ার্ডের জামায়াত আমির নাজির হোসেনের ছেলে মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রতিপক্ষের মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৭) ও তার বোন শাহিনা বেগম (৪০) এবং রওশন আরা। নিহতরা সম্পর্কে আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাইবোন।

স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, কুতুপালং পশ্চিম পাড়া গ্রামের সামান্য জায়গা নিয়ে দুপক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে রোববার সকালে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয়পক্ষের অনেকে আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের এমএসএফ, আলিফ ও উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় রওশন আরা বেগমও গুরুতর আহত হন। তখন তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুদিন পর রওশন আরা মারা যান।

আ ম ফারুক বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে মান্নান, রওশন আরা, শাহীনা আক্তার নিহতের ঘটনায় তার পরিবার গত ৭ এপ্রিল উখিয়ায় থানায় মামলা করেন। সে মামলায় তিন আসামিকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×