‘মার্চ ফর গাজা’র মিছিল শেষে হোটেল-গার্মেন্টস-মিষ্টির দোকানে হামলা


April 2025/Attack Hotel.jpg

ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবি জানিয়ে গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘঠেছে। এ সময় হোটেল, মিষ্টির দোকান ছাড়াও কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘মার্চ ফর গাজা’-এর প্রতি সংহতি জানিয়ে কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী, বোর্ড বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে হাজার হাজার পোশাকশ্রমিক।

সকালে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে শান্তি পূর্ণ মিছিল করলেও বিকেলে কোনাবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড, কনকর্ড নিটিং এন্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের মাইমুন ও মতিন গার্মেন্টস খোলা রাখায় ইসরায়েলি আগ্রাসান বিরোধী মিছিল থেকে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া কোনাবাড়ীতে বাটা শো-রুম, আজওয়া, পিৎজ্জা হল, এপেক্স, স্বপ্ন সুপার সফ, বিউটি সুইট মিটসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানে হামালা ও ভাংচুর চালানো হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল রেইনবো ও মুনে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় রেইনবো হোটেল থেকে পিছন দরজা দিয়ে কয়েকজন যৌনকর্মী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় একজন যৌনকর্মীকে বিক্ষুব্ধ জনতা আটক করে বেদম মারপিট করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অপরদিকে বিক্ষিপ্ত জনতা মুন হোটেল থেকে আসবাবপত্র বের করে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো কোনাবাড়ীতে।

স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেডের এডমিন ম্যানেজার ইউসুফ আলী মোবাইলফোনে জানান, বিকেলে বহিরাগত শ্রমিকরা এসে কারখানায় হামালা চালায়। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করলে তিনি মিটিংয়ে আছি বলে ফোন কেটে দেন।

কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের এইচআর জিএম মো. নাইমুর রহমান বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিছু শ্রমিক দুই নং গেটে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে তারা বড় একটি মিছিল নিয়ে এসে কারখানার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে ছুটি ঘোষণা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মতিন স্পিং মিলস এবং জিতার মোড়ে মাইমুন লিমেটেডে হামালা ও ভাংচুর চালানো হয়।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন বলেন, ‘বিকেলে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে ইসরায়েলি আগ্রাসান বিরোধী মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কোনাবাড়ীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি জানিয়ে বেশ কিছু দোকান পাট ও শফিংমলে হামলা ও ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।’

এসময় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×