এখনই অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় হামাস
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:১৭ এম, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস এখনই অস্ত্র ত্যাগে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল। কাতারের রাজধানী দোহায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে হামাসের প্রধান লক্ষ্য গাজা উপত্যকার পুনর্গঠন।
নাজ্জাল জানান, অন্তর্বর্তী সময়ে গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ হামাসই ধরে রাখতে চায় এবং তারা এখনো নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তার ভাষায়, “আমরা বন্দি বিনিময়, যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ প্রবেশে সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু অস্ত্র হস্তান্তর সংক্রান্ত ধারা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি—এটি আলোচনাসাপেক্ষ।”
তিনি বলেন, গাজা পুনর্গঠনের জন্য পাঁচ বছরের দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি রয়েছে। তবে এর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বাস্তব অগ্রগতির ওপর।
নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে নাজ্জাল পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, “আপনি নিরস্ত্রীকরণের কথা বলছেন, কিন্তু অস্ত্র কাকে, কেন হস্তান্তর করা হবে? ইসরায়েল কি তার পারমাণবিক অস্ত্র জমা দেবে? কেন ইরানকে অস্ত্র ধ্বংসে বলা হয়, অথচ ইসরায়েলকে তা বলা হয় না?”
গাজায় প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নাজ্জাল বলেন, “এসব ছিল যুদ্ধকালীন ব্যতিক্রমী ঘটনা। নিহতরা হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ছিলেন।”
অন্যদিকে, রাফা সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের পক্ষ থেকে মরদেহ হস্তান্তরে বিলম্ব হওয়ায় বুধবার নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে এটি আগামী রোববার খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যার সম্ভাব্য ব্যয় ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিকল্পনাটিতে ১৮টি খাতভিত্তিক ৫৬টি উপ-প্রোগ্রাম রয়েছে। মুস্তাফা জানান, প্রথম ধাপে ছয় মাসের জরুরি পুনরুদ্ধার, দ্বিতীয় ধাপে তিন বছরের পুনর্গঠন এবং শেষ ধাপে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হবে।