সিইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:২৩ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার একটি কারখানা ভবনে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগুন এখনো পুরোপুরি নিভেনি, যদিও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর পর থেকেই বিভিন্ন ইউনিট আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পর্যন্ত পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ভবনের সাততলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দ্রুতই আগুন পুরো আটতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার দিকে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের তাপ শত মিটার দূর পর্যন্ত অনুভূত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি অংশ নেয়, তবে আগুনের তীব্রতার কারণে তারা এক পর্যায়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে। রাতে কিছুটা বৃষ্টি হলেও আগুন নেভেনি। দীর্ঘক্ষণ জ্বলতে জ্বলতে ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়ে এবং এখন ভবনটি প্রায় কঙ্কালসার অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, “আগুন নির্বাপণে আমাদের পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে।”
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “যে ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, সেটির অগ্নিনিরাপত্তা সনদই ছিল না। প্রতিষ্ঠানটি সনদের জন্য আবেদন করেছিল, কিন্তু পরিদর্শন হওয়ার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।” তিনি আরও জানান, ভবনের আশপাশে নিরাপত্তার জন্য যে ন্যূনতম খালি জায়গা রাখা বাধ্যতামূলক, সেটি দুই দিকেই ছিল না, ফলে অন্য দুই পাশ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ওই ভবনে অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানি নামের দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালায়। ভবনের আটতলা খালি থাকলেও, সাততলায় ছিল তাদের গুদামঘর, যেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
অ্যাডামস ক্যাপে তোয়ালে ও ক্যাপ, আর জিহং মেডিকেলে সার্জিক্যাল গাউনসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করা হতো।