শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: সেই শিক্ষককে আদালত প্রাঙ্গণে গণধোলাই


শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: সেই শিক্ষককে আদালত প্রাঙ্গণে গণধোলাই

ঠাকুরগাঁওয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্কুলশিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ রবিবার (৯ মার্চ) সকালে তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিন আদালতে তোলার সময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে দেখেই উৎসুত জনতা ধোলাই দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে ধর্ষকের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।

এ সময় তারা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন। পরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেন। তাদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা আশস্ত করে বলেন, কোনোভাবেই যেন অপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে বের না হতে পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণিত হলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে অপরাধীর।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সদরের ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

উল্লেখ্য, বিদ্যালয় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়তে যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে একটি কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে পালিয়ে যান পাষণ্ড শিক্ষক। পরবর্তীতে শিশুটির চিৎকার-চেচামেচিতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসার আগেই ওই শিক্ষকের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসেন। গোপনে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করার কথা জানতে পেরে সাংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে দ্রুততম সময়ে শিশুটিকে জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×