ইয়াবাসহ গ্রেফতার ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় ছাত্র আন্দোলনের নেতা


Feb 2025/Robiul.jpg
রবিউল ইসলাম

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় মাদক মামলায় গ্রেফতার ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার বিরুদ্ধে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ওসিকে প্রত্যাহারেরও হুমকি দেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পলাশবাড়ী থানায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গণমাধ্যমকের হাতে এসেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একদল তরুণ পলাশবাড়ী থানার ওসি রুমে। তারা মাদক মামলায় গ্রেফতার সাবেক ছাত্রদল নেতা আলামিনকে ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। ওসি এতে রাজি না হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণ, গালিগালাজসহ বিভিন্ন হুমকি দেন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বুধবার ভোরের দিকে উপজেলার চৌরাস্তার হিজলগাড়ি এলাকায় তিনজন ইয়াবা বিক্রি করছেন। এ সময় ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে আলামিনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর সহযোগী আকাশ (৩৩) ও সবুজ মিয়া (২৮) পালিয়ে যান। দীর্ঘ দিন ধরে তারা নেশাজাতীয় দ্রব্য বেচাকেনা করে আসছিলেন। অভিযানে আলামিনকে গ্রেফতার করলেও আকাশ ও সবুজ পালিয়ে যান। পরে আলামিনকে ছাড়াতে তার ছোট ভাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধার যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম থানায় আসেন।

এ নিয়ে ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, ‘৬০ পিস ইয়াবাসহ আলামিন নামের যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার ছোট ভাই রবিউল ইসলাম থানায় এসে নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দেন এবং তার ভাইকে ছেড়ে দিতে বলেন। আমি রাজি না হলে একদল তরুণ নিয়ে রুমে ঢুতেন। বলা হয়, কোনো মামলা না দিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। আমি তাতেও রাজি না হলে আমাকে পলাশবাড়ি থানা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দেন। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের থানা থেকে বের করে নিয়ে যান।

ওসি আরও বলেন, ‘অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, কোনো ধরনের অবৈধ কাজে সায় দেওয়া হবে না।’

অভিযোগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাইকে পুলিশ যে অপরাধ দেখিয়ে গ্রেফতার করছে, তিনি সেই কাজের অপরাধী নন। এ জন্য আমি থানায় গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×